পাপ্পু ভাই ডালিম ভাই দের বাসার কাছে একটা ড্রেনের এন্ডিং ছিল যা আমরা সি টাইপের পোলাপাইনরা মিলে মূল ড্রেন থেকে ইট সিমেন্ট দিয়ে আলাদা করে ফেলেছিলাম মাছ পালবো বলে। আমরা যে যেভাবে পারি কলোনির বিভিন্ন মাছের সোরস থেকে মাছ এনে ছারা শুরু করলাম। আমাদের মেইন সোরস ছিল বাইরের মসজিদের পুকুর আর হাউস। এই কাজে ব্যাপক পারদর্শী ছিল মোল্লা সুমন। মাক্সিমাম মাছ ছিল তেলাপিয়া। এভাবে আমাদের মিনি পুকুর টা অল্প দিনেই মাছে মাছে ভরে গেল।
একদিন মহিম আর ছোটন ভাইয়ের বাবা বাজার থেকে চিরিং (চাটগাঁইয়া ভাষায়) মাছ নিয়ে যাচ্ছিলেন কয়েকটা রাস্তায় পরে গেলে সেই মাছ গুলোও আমরা ধরে আমাদের মিনি পুকুরের বাসিন্দা বানিয়ে দিলাম। ইতিমদ্ধে তেলাপিয়া মাছ পোনা দেয়া শুরু করেছে। সে যে কি আনন্দ বোঝাতে পারবনা। কিন্ত কিছু দিন পর খেয়াল করলাম আমাদের মাছের পরিমান কমতে শুরু করেছে।
তেলাপিয়া মাছ পানির উপর ভেসে থাকে। ভেসে থাকা তেলাপিয়া মাছের পরিমান দেখে বুজেছিলাম ডাল-মে-কুচ কালা হে। গভির ইনভেস্টিগেশন করে বুঝা গেল একটা ব্যাং আমাদের মিনি পুকুরে আশ্রয় নিয়েছে এবং মাছ গুলো তার ব্র্যাকফাস্ট,লাঞ্চ এবং ডিনারে মেইন ম্যেন্যু। প্ল্যান করলাম ব্যাঙ টা ধরে ফেলব। যেমন কথা তেমন কাজ। পানি কমিয়ে অবশেষে বিশাল বড় একটা ব্যাঙ আমরা ধরতে পারলাম। এই বার এই ব্যাঙ নিয়ে কি করা যায়। পাপ্পু ভাই, বাইট্টা পেয়াজ বাবু ভাই প্ল্যান করল এইটা রান্না করবে। পাপ্পু ভাইদের বাসায় খুব পরিপাটি করে পাপ্পু ভাই বাবু ভাইরা মিলে রান্না করল এবং আমরা সবাই মিলে ব্যাঙ টার রান গুলো মজা করে খেলাম। উফ সেই রকম মজা হয়েছিল। Jahid Hossen Sumon Islam Sujon Molla
No comments:
Post a Comment