২১ শে ফেব্রুয়ারির আগের রাতে বন্ধু রিমানের লুঙী কাহিনী তো আগেই বলা হয়েছে, এক্ষেত্রে ভিলেন মরাইয়া রাশেদ, আজ জানাবো বন্ধু বদরুলের গায়ে কফ নিক্ষেপ কাহিনী, এবং এখানেও ভিলেন যথারীতি মরাইয়া।
রিমানের লুঙী কাহিনী তখনো শুরু হয়নি, আমরা সবাই, মানে এপ্রিল 29 এর সদস্য রা পানির ট্যাংকীর নীচে রাস্তায় আল্পনা করছিলাম, বদরুল লুঙ্গি হাঁটু পর্য্যন্ত তুলে উবু হয়ে (অনেক টা নামাজের রুকু দেওয়ার ভঙ্গিমায়) খুব মনোযোগ দিয়ে আল্পনায় ফিনিশিং টাচ দিচ্ছিলো, ঠিক তখনই রাশেদের মাথায় দুষ্ট বুদ্ধি খেলে গেলো, বদরুলের পিছনে গিয়ে তার লুঙ্গী টি তুলে সর্বশক্তি দিয়ে একদলা কফ (মরাইয়ার প্রায় সময় সর্দি লেগে থাকতো) রাশেদ বদরুলের পশ্চাৎ দেশে মারল, ঘটনার আকষ্মিকতায় বদরুল পুরোপুরি হতবিহবল, রাগারাগি করার চেতনাও লোপ পেয়েছে বদরুলের, সম্বিৎ ফিরে পাওয়ার পর জাস্ট রাশেদ কে "তুই ওজ্ঞা ফেরোত" (তুই একটা নোংরা) বলতে বলতে, লুঙ্গি টি উচিয়ে ধরে বাসায় গিয়ে এই মাঝরাতে গোসল করে আবার ট্যাংকীর নীচে এলো বদরুল।
তারপর তো ঘটলো রিমানের লুঙ্গী ট্রাজেডি। এভাবে হাসি ঠাট্টা, আনন্দ,মজার মধ্যে দিয়ে ভোরে একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে আসি। সম্ভবত কলোনীতে এটাই ছিলো আমার শেষ একুশে ফেব্রুয়ারি পালন এবং এখনো পর্য্যন্ত এটাই শেষ একুশে পালন।
No comments:
Post a Comment