রেজা ভাইয়ের এই পোস্টে ভাবীর (সারাফের মা) ফেসবুক বিরোধী আচরনের কারনে একটা গল্প মনে পড়ে গেল।
একবার এক বয়স্কা মহিলা পরিচিত আরেক বয়স্কা মহিলাকে বলছেন "জানেন আমার মেয়ের জামাই কি ভাল? সবসময় বৌকে সব কাজে সাহায্য করে। বাচ্চাদের স্কুলে নিয়ে যায়, মাঝে মধ্যে ঘরের ছোট খাট কামকাজ করে আমার মেয়েটাকে সাহায্য করে। অনেক সময় রান্নাবান্নার কাজটাও মেয়ের জামাই করে দেয়। আমার মেয়ে অনেক সময় জোড় খাটিয়ে ওর জামাইকে দিয়ে কাপড় কাঁচিয়েও নেই ইত্যাদি ইত্যাদি।" বলে ইয়া বড় একটা ভেটকি দিলেন।
কিন্তু "আমার ছেলের বৌটা দুনিয়ার বদ। আমার ছেলের কথাতো শুনেই না। সবসময় পায়ের উপর পা তুলে বৌ মা থাকতে চায়। ছেলেটাকে দিয়ে হেন কোন কাজ নেই করায়না। সবকিছু আমার ছেলেটাকেই করতে হয়। কিযে বলবো - বৌটা কাজ করিয়ে আমার ছেলেটার লাইফটাই বারোটা বাজিয়ে দিল ইত্যাদি বলে ইয়া বড় এক দীর্ঘশ্বাষ ছাড়লেন""।
সবাই বুঝতেই পারছেন তিনি কি রাইট ওয়েতে আছেন নাকি wrong ওয়েতে আছেন? তিনি কোন নীতি অবলম্বন করেছেন বোঝা একদম কঠিন নয়
আমাদেরও হয়েছে একই অবস্থা - আমাদের বৌরা সবসময় আমাদের csm group এর বিরোধিতা করছে। আমরা ফেবুতে ঢুকলেই বৌয়ের মাথায় অদৃস্ট এক হাতুরি পেটা শুরু হয়ে যায়। মনে করে ফেলে আসা কোন বান্ধবী বা কারো সাথে হয়তো টাংকি মারছি আর নয়তো প্রেমালাপ জুড়িয়ে দিয়েছি। আরে বাবা তোমরা কি বুঝবা আমাদের csm এর ব্যাপারে। এখন ফেবুতে ঢুকলেই csm group এ ঘাপটি মাইরা বইসা থাকি। গ্রুপের বাহিরে খুব খুব কমই থাকি। ঠিক একই অবস্থা মনে হয় আমাদের বোনদেরও - ওদের জামাই বাবুরাও বোধ হয় এটার বিরোধী। ওরাও হয়তো আমাদের বৌদের মতো একই রকম ভাবে।
সত্যি বলতে কি- আমরা যেমন কারো হাসবেন্ড ঠিক তেমনি আমাদের বোনরাও কারো বৌ। কাজেই দুইটা দিকই একই দৃস্টিতে দেখা দরকার। তারপরেও বুঝিয়ে সুজিয়ে যতটুকু পারা যায় আর কি।
বাবা প্রায় বলেন "৮/৯ ঘন্টা অফিসে কম্পিউটারের মনিটরে চোখ রেখে আর মাউস নিয়ে টিপাটিপি করার পর বাসায় আসার পরও তোকে দেখি সারাক্ষন মোবাইল দিয়ে দুই বৃদ্ধাঙ্গুল দিয়ে কি টিপস তুই জানস। রাত ১০টার পর শুরু হয় ল্যাপটপ নিয়ে রাত জাগা। তুই করসটা কি?
আসলে কি যে করি বাবা যদি জানতেন আর বাবারও যদি আমার মতো CSM group এ এমন কিছু বন্ধু কিছু ভাল মানুষ থাকতো আর কলোনীর মানুষগুলোকে একসাথে পেতেন তাইলে তিনি হয়তো আমাকেও ছাড়িয়ে যেতেন।
আসলেই এটা একটা নেশা হয়ে গেছে। গত কয়েক দিন পেজটার অবস্থা কেমন যেন এলোমেলো ছিল। ভার্চুয়াল সিএসএম কলোনী পেজ টার যেই গলিতে ঢুকতাম কেমন যেন একটা শুন্যতা আর নিস্প্রান লাগতো কিন্তু এখন আবার আগের মত প্রান ফিরে পাচ্ছি। গ্রুপে ঢুকেই প্রান ভরে শ্বাষ নিতে পারছি। সব গলিতেই কাউকে না কাউকে পাচ্ছি। পরিচিত বড় ছোট মানুষগুলোকে একসাথে পাচ্ছি, ভীষন ভাল্লাগছে।
No comments:
Post a Comment