স্কুল লাইফে যে কজন আপুর সাথে আমি এবং আমরা বেশি দুষ্টমি করতাম তার মধ্যে অন্যতম ছিল তানিয়া আপু। আমার খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধু জাহেদ এর বড় বোন হলেন এই তানিয়া আপু। উনার সাথে যখন আমরা দুষ্টমি করতাম উনি তখন শুধু হাসত কিন্তু কোনদিন আমাদের বকা দেন নি বা বিরক্ত হননি। জাহেদ কে বলতাম আমরা আপুকে এত রাগাই তারপর আপু কেন আমাদের কিছু বলে না। জাহেদ বলত আপু তোদেরকে খুব পছন্দ করে তাই কিছু বলে না। এই তানিয়া আপুর সাথে আমার সর্বশেষ দেখা হইছে এবং কথা হইছে সেই ২০০০ সালে। আমি উনাকে মনে হয় ভুলেই গিয়েছিলাম।
এরপর উনাকে দেখলাম ২৯ জানুয়ারি ২০১৬ তে। আমাদের প্রিয় গ্র্যান্ড আড্ডায়। আমি দাঁড়িয়ে আছি আর উনি আমার সামনে দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে। আমি বললাম আপু আসসালামুয়ালাইকুম। উনি সালামের উত্তর নিল। আমি বললাম আপু আমাকে চিনছেন। উনার চাহুনি দেখে বুজলাম উনি আমাকে চিনতে পারছে না বা চিনতে কষ্ট হচ্ছে। আমি বললাম আমি সুজন, আপনার ছোট ভাই জাহেদ এর ফ্রেন্ড। উনি তারপরও আমাকে ঠিকমত চিনতে পারলনা। তারপরও বলল চিনছি। যাই হোক আড্ডায় উনার সাথে আমার আর কথা বা দেখা হয়নি কিন্তু আমি উনার প্রাণবন্ত উপস্থাপনা খুবই উপভোগ করেছি।
আড্ডার পর ভাবলাম আপুকে ফ্রেন্ড রেকুএসট পাঠাবো। কিন্তু আমি ফ্রেন্ড রেকুএসট পাঠানোর আগেই উনি আমাকে ফ্রেন্ড রেকুএসট পাঠাল। বুজলাম উনি আমাকে চিনতে পেরেছে। তারপর একদিন অনেক্ষণ উনার সাথে চ্যাট হল। বলল একদিন উনার সাথে দেখা করার জন্য, আমাকে আইচক্রিম খায়াবে। কিন্তু আর দেখা করা হয়নি।
এরপর আবার দেখা হল গ্র্যান্ড ইফতার পার্টিতে। কিন্তু সময়ের অভাবে উনার সাথে ঠিকমত কথা বলা হয়নি।
গত ১৭ জুলাই রাতে গিয়েছিলাম বাবু ভাইয়ের ছেলে আর টিপু ভাইয়ের ভাতিজার জন্মদিনে।আবার দেখা হলো তানিয়া আপুসহ অনেক ভাইয়া আপুদের সাথে। আপুকে বললাম আমাকে এইবার চিনতে পেরেছেন। আপু হেসে বলল তোরে চিনব না, তুই হল ......।
এরপর অনেকক্ষণ আপুর সাথে কথা হল। তারপর আপুর সাথে একটা সেলফি তুললাম।

No comments:
Post a Comment