দুই রুমের বাসা। তিলপা পাড়ায়। একটা খাট, ছোট একসেট সোফা, আর একটি আলমারি। সংসার সুরু।
দারুন খুশী, আজকের সারাফের মা। রাত যেগে গল্প করতাম। সারাদিন কাজে থাকতাম। সন্ধার পর, বাসাবো ক্লাবে আড্ডা। আর রাতে, চুপচাপ বউ এর, নানারকম কথা সুনতাম। আমি যখন ক্লাস সিক্সে পড়ি, তখন বাবা মারা যায়। বাবার সাইকেলে চরে প্রতিদিন স্কুলে যেতাম। অনেক ভালোবাসতো বাবা আমাকে, সবার ছোট ছিলামতো, তাই।
প্রেম/ট্রেম, আসেনাই জিবনে?? নাকি আমার আসায় বসেছিলে!! প্রেম ঠিক না, তবে---, নড়ে/চড়ে বসলাম, তবে কি?? তবে কিছু না। আরে বলে ফেলো, নো প্রবলেম। এই দেখো আমি, ভালোবাসতে/বাসতে, জিবনটা ফানা/ফানা করে ফেলছি!!!!
এই ভাবেই যেতো, নানারংগের দিনগুলি।
বাবু আমার বাসায় এসেছে। অনেক কিছুই রান্না করেছে, মলি। হারামজাদা খাওয়া শেষে বলে, ভাইয়া, ভাবিকে বাড়িতে পাঠাও, মার কাছে রান্না/বান্না শিখুক, তা নাহলে মানুষের কাছে মুখ দেখাতে পারবেনা। আমি সিওর, ভাবি চিনি দিয়ে, তরকারি রান্না করে!!!! মলির মুখের দিকে তাকানো যাচ্ছিলো না। ইচ্ছে করছিলো, হারামিরে কষে একটা চড় মারি।
আমার কাছে খেতে ভালো লাগে। আর তুইতো খাইতে কম খাইলি না। খাওয়া হলো নিয়ামত, নষ্ট করতে হয়না। সোজা একখান উত্তর দিলো, মোটাইয়া!
এখন সারাফের মা ভালোই রান্না করে। শোনো সারাফের বাবা, রিঠা মাছ নিয়ে আসো, মাংসের মত ভুনা করে, তোমাদের বাপ/বেটিকে খাওয়াবো।
আমার বউ রান্না করে, আমি আর আমার বেটি মজা করে খাই। এখনো, যদি অনেক রাত হয়ে যায়, তবুও ঢাকায় না থেকে, বাসায় ফেরার চেস্টা করি, শুধু, একসাথে বসে খাবো বলে।
দারুন রান্না করেছো সারাফের মা। আচ্ছা, তুমি এত মজা করে রান্না করো কি ভাবে!!??
কথা কম সারাফের বাবা, খেয়ে উঠো। তোমার মতলব ভালো না!!!!!!
No comments:
Post a Comment