আমরা যখন একটু একটু বই পড়ার প্রতি আগ্রহ তৈরি হচ্ছে তখন দেখতাম আমাদের বাসায় হুমায়ুন আহমেদের বই।আমার আপাই কিনতেন।কিন্তু আমাদের সেই বই পড়া নিষেধ ছিল।আমাদের জন্য ছিল বোতল ভুত,পিপলী বেগম।কিন্তু আমার পড়তে ইচ্ছা করত অনীশ, তোমাকে এই গল্প গুলো। আপার বইয়ের মলাটে এই প্রচ্ছদ গুলো দেখতাম। কিন্তু পড়তে পারতাম না। ভাবতাম কি এমন আছে যে পড়া যায় না। লুকিয়ে লুকিয়ে অনীশ পড়েছিলাম।দেখলাম খারাপ কিছুই নেই। এরপর আর বই পড়া হয়নি। বড় গল্পের বই এড়িয়ে যেতাম। রুপকথার গল্প পড়তেই দেখলাম ভাল লাগছে।
আপার থেকে অনেকেই বই পড়তে নিয়ে আর ফেরত দিত না।বলতেন হারিয়ে ফেলছেন। বিষয় টা আমার খুবই অপছন্দ ছিল।তাই একটু বড় হবার পর মানুশকে বই দেবার ব্যাপারে আমি কড়াকড়ি করি। এখন ত চাইলেই pdf ফাইলে অনেক বই বিনে পয়সায় পাওয়া যায়।কিন্তু নব্বই এর দশকে সবাই যখন হুমায়ুন আহমেদের বই য়ে আচ্ছন্ন হয়ে ছিল তখন বই কিনে পড়া টা কলোনি র অনেকের জন্য এত সহজ ছিল না

No comments:
Post a Comment