সল্ট স্কুলের রাগি শিক্ষিকা (তবে মন নরম) চান্দু চুলটানার তিনটা মা আছে (Umama, Fatima এবং নুজাইমা)। তিনটাই বেসম্ভব ভালো। তাদের সাথে আগে কখনো কথা হয় নাই, দেখা হয় নাই। এমনকি ২৪ ডিসে্ম্বরের আগে ফেইসবুকেও এড ছিলো না আমার সাথে। ২৪ ডিসেম্বর সকাল বেলা প্রথমে দেখা হলো উমামের সাথে। আমারে দেইখাতো উমাম ১.৩০ মিনিট অজ্ঞান ছিলো। কোন কথা মুখ দিয়ে বের হয় নাই। মনে মনে ভাবতে ছিলো আমি এত কালো কেন? তাছাড়া মাথায় ও টাক। যা হোক জ্ঞান ফিরে পেয়ে প্রথমে জিজ্ঞাসা মামা কেমন আছেন? তার কিছু সময় পরে আসলো ইনান। তারপর সবাই মিলে সকালের নাস্তা করলাম।
নাস্তা করার সময় আপনি থেকে অটোমেটিক তুমি করে ডাকা শুরু করলো কোন পারমিশন ছাড়াই। যেন অনেকদিন পরে মামাকে পেয়েছে। এত সহজে এত দ্রুত সাবলীল সবাইকে আপন যা সত্যিই অকল্পনীয়। সেদিন আর দেখা হলো না। ০৫ জানুয়ারী আবার অফিসের কাছে ঢাকা গেলাম। বিকাল তিনটায় উত্তরায় কাজ শেষ করে ভন্ড বাবাকে ফোন দিলাম। পীর সাহেব বললেন বনানী চলে আয়। বনানী আসার পর উনি বললো মগবাজার চল। কিন্তু সিএনজিতে উঠার পাইলটকে বলে নাট্য পাড়ায় যেতে। তারমানে চান্দুর বাসায়। বাসায় গিয়ে দেখি উমাম নাই (মা'র মত মাষ্টরনি হইছে)। ইনান আছে। আর নুজাইমা স্কুল থেকে আসার পর ড্রেসও চেইঞ্জ করে নাই এর মধ্যে চান্দু ওরে ইংরেজিতে সমান তালে ঝাড়তাছে। কিছুক্ষন পর পর ইনান এসে বলে কি খাবা? আধ ঘন্টা পরে উমাম এলো।
বাসায় ঢুকেই কমু মামা বলে যে চিৎকার দিলো তাতে আর একটু হলে আমি হার্ট এটাক করতাম। তারপর আবার দেখা হলো গ্র্যান্ড আড্ডার আগের দিন সন্ধ্যায়। দেখা মাত্র তিন বোন দৌঁড়ে এসে জড়িয়ে ধরলো। কত আগ্রহ নিয়ে রাতের খাবার খেলো। ওদের বয়সের অনেক মেয়ে আছে তারা হলে নাক সিটকাতো। একেবারে সিম্পল চারটা মেয়ে (মা সহ)। তোদের মা আসলেই ভাগ্যবতী কারন তার তিনটি মিষ্টি মেয়ে আছে। দোয়া করি তোরা যেন এই রকম সিম্পল থাকতে পারিস। তবে সাবধানে থাকিস, চোখ কান খোলা রাখিস, বিপদে ধৈর্য্য হারাইস না।
No comments:
Post a Comment