ছোটবেলায় আমাদের শপিং এ যাবার সময় ছিল সকাল সাড়ে ১০ টা। রাতের বেলায় আব্বা আম্মা শপিং যেতে চাইতেন না। দিনের বেলায় গিয়ে সন্ধ্যার আগে ফিরে আসতে হত। তখন এত জ্যাম ছিল না। কিন্তু দেখা যেত কোন একটা মার্কেট এ ঘুরে আম্মা আব্বা ক্লান্ত হয়ে যেতেন।বলতেন রোজা রেখে শপিং করা যে কি কষ্ট বলা যাবেনা।আমি তখন রোজা না রাখায় বুঝতে পারতাম না। আবার অনেক সময় জামা কাপড় কেনার সাথে সাথে খেলনাও কিনতাম। ঈদ সংখ্যাও থাকত।
এরকম একবার খেলনা কিনলাম। প্লাস্টিক এর বিভিন্ন পশুর মূর্তি। ১০০ টাকা ছিল খেলনার দাম। আজ থেকে ২৭ বছর আগে। খেলনা কিনে আমরা বেবি ট্যাক্সি তে চড়লাম। খেলনা ছিল আমার ভাইয়ের হাতে। ও একপাশে বসছিল ট্যাক্সি র। একসময় ঘুমিয়ে পড়ে। বাসায় এসে যখন সব কিছু দেখছি,দেখি খেলনা টা নেই। ও ঘুমের মধ্যে হাত থেকে ফেলে দিছে। আম্মা অনেক বকলেন। মন খারাপ হল।
এরকিছুদিন পর Farzana Haque Rini দের বাসায় গিয়ে দেখি সেই খেলনা টা শো কেসে সাজানো। আমি জিজ্ঞেস করলাম কোথায় পেয়েছে।ও বলল ওর মামা না কে যেন কিনে দিয়েছে।কিন্তু আমার সন্দেহ হল আমাদের খেলনাটা মনে হয় ওরা কুড়িয়ে পেয়েছে।বাসায় এসে আম্মাকে বললাম সন্দেহের কথা। আম্মা হেসে পাত্তা দিলেন না। কিন্তু আমার মন থেকে সন্দেহ আর যায় না। যতবার ওদের বাসায় যায় রিনিকে জিজ্ঞেস করি কোথা থেকে কিনেছে।মনে হয় এই বুঝি বলবে রাস্তায় কুড়িয়ে পেয়েছে। একইরকম খেলনা যে আরেকজন কিনতে পারে এই ব্যাপার টা বুঝতে আমার অনেকদিন সময় লেগে গিয়েছিল। বুঝতে পারার আগ পর্যন্ত আমি রিনিকে সন্দেহ করে গিয়েছিলাম।
No comments:
Post a Comment