১৯৬৮ সালের মাঝামাঝি বাবার কর্মস্থল সিএসএম এসে ভরতি হলাম হোসেন আহম্মদ পাড়া ফ্রি প্রাইমারি স্কুলে- ক্লাস ফো'রে। এর আগে নিয়মিত ভাবে কোন স্কুলে যাওয়া হয়নি তাই আব্বা বাসার কাছেই এক গৃহ শিহ্মক ঠিক করলেন। গৃহশিহ্মক না বলে টিউটর বলাই শ্রেয় কারন উনি বাসায় আসতেন না আমিই যেতাম ওনার গৃহে।
আব্বা বললেন :
-তোর হাতের লেখাটা খুব খারাপ;ঠিক করা দরকার।
বুড়া মাস্টারের লেখা খুব ভালো। উনি তোকে ঠিক করে দেবেন।
আমি আমতা আমতা করে বললাম:
-- স্যার খুব মারে।
--স্যারের মার না খেলে লেখা পড়া হয় না। আমি স্যারকে বলে রেখেছি কাল থেকে যেতে হবে।
অগত্যা আর কি!
আমরা তখন থাকতাম কলোনীর বাইরে নবী কন্টাকটরের ভাড়া বাড়ীতে। স্যার জায়গীর থাকতেন নবী সাহেবের বাড়ীতে। নবী সাহেবের ছেলেমেয়ে - কামাল,রোকেয়া,বাহাদুর এর সাথে আমিও পড়তাম। তবে এটা বুঝতে পারতাম আমাকে স্যার স্পেশাল কেয়ার কতেন।
প্রথম দিনেই স্পেশাল কেয়ারের স্পেশাল ট্রিটমেন্ট। বাম হাতের তালুতে চিকন ছড়ির সপাৎ সপাৎ। হোম ওয়ার্ক হিসাবে বাংলা,ইংরেজী দু'পাতা দ'পাতা চার পাতা হাতের লেখা।
এভাবে দুমাস যাবার পরই আমার হাতের লেখাটা একটা
" জাতে উঠতে" পেরেছিল। যার পুরস্কার আমি বৃত্তি পরীহ্মা থেকে শুরু করে জীবনের অনেক পরীহ্মায় হতে নাতে পেয়েছি।
স্যারের এই ঝৃণ শোধাবার সাধ্য কী আমার।
স্যার, আপনাকে শ্রদ্ধা জানিয়ে তাই এই লেখাটা ফটো পোষ্ট করলাম :


No comments:
Post a Comment