MD Younus কলোনির সবচেয়ে বেশি পরিচিত মুখ,বলা যায় জনপ্রিয় মুখ এবং আরো বলা যায় সে ছিল কমন ফ্রেন্ড ফেসবুকের ভাষায় যারে বলা যায় মিউচুয়াল ফ্রেন্ড। সে যেমন আমার বা আমার সমসাময়িক দের বন্ধু তেমনি ছিল আমার সিনিয়র বা জুনিয়র দেরও ফ্রেন্ড ছিল। জীবনের বহু গুপ্ত তথ্য বা ইতিহাস তার সাথে শেয়ার করছি।
যা হোক,ইউনুসের দোকানে মোটামুটি আমরা সবাই বাকীতে পান সিগারেট, কোক বিস্কুট খেতাম এই খাওয়ার পাশাপাশি এই বাকী টাকা পরিশোধের জন্য তার কাছ থেকে পুরো ফ্রিতে ঝাড়িও খাইতাম। তবে একটা ব্যাপার খেয়াল করলাম সবাই সমানে ঝাড়ি খাইলেও কেন জানি সে আমাকে ঝাড়তোনা। আর আমিও মনের আনন্দে সেখানে বাকীতে পান বিড়ি ফুকতাম আর মাঝেমধ্যে অল্প অল্প টাকা পরিশোধ করতাম। অবশেষে কৌতুহলেই ইউনুস কে জিজ্ঞেস করলাম -- " আমি তোর কাছ থেকে বাকী খেয়ে অল্প টাকা দেই, পুরোটা দেইনা, তারপরও তুই আমারে ঝাড়ি দেস না কেনো? ইউনুস উত্তরে কিছু বলেনা, খালি মিটিমিটি হাসলো।
অবশেষে এই রহস্যের উত্তর পেলাম আমি ঢাকায় চাকুরী জয়েন করার কিছু দিন আগে।
" আব্বা ইউনুস কে নাকি বলেছিল, আমি ইউনুসের দোকান থেকে কিছু বাকী তে কিনতে চাইলে আমাকে যেন সে দিয়ে দেয়, টাকা আব্বা পরে শোধ করে দিবে," তবে আব্বার এ কথা টা আমাকে না বলার জন্য ইউনুস কে বলা হয়েছিল।
ইউনুসের বাকী পরিশোধের জন্য ঝাড়ি না দেওয়ার ঐ রহস্যটা আমি একবারে শেষ মূহুর্তে জানতে পেরেছিলাম।
No comments:
Post a Comment