Thursday, February 25, 2016

সুজন যে ভাবে পরিসংখ্যান রিপোর্ট প্রকাশ করা শুরু করেছে-সে হিসাবে আমার কিছু লেখে পেজে নাম উঠানো দরকার


সুজন যে ভাবে পরিসংখ্যান রিপোর্ট প্রকাশ করা শুরু করেছে-সে হিসাবে আমার কিছু লেখে পেজে নাম উঠানো দরকার। আড্ডা সমন্ধে এখন কিছু লিখব না। কারণ তা হলে- হেড অফিস ব্যাগ গুছানো শুরু করবে। তাই কয়েকটা জোকস বলে নিজের নামটা উঠাই। অনেক ছোট বেলায় আমার নানার মুখে একটা গল্প শুনেছিলাম।
এক চুল দাড়ি পাকা বুড়ো রাস্তার ধারে বসে,
ও মা! ও পিশি মা! ও ঠাকুমা!
বলে কাদছে। 
এক পথচারী তাই দেখে জিজ্ঞাস করল 
ও দাদু কাঁছ কেন? 
বুড়ো ফুঁপিয়ে উঠে জবাব দিল
বাবা মেরেছে।
পথচারী তো হতবাক, এই বুড়োকে বাবা মারকে কেন? তাছাড়া এমন বুড়োর বাবা কি বেচেঁ থাকা সম্ভব? তাই সে আবার জানতে চাইল?
বাবা তোমাকে মারল কেন?
বুড়ো বলল,
ঠাকুর দাদার হুঁক্কো ভেঙ্গে ফেলেছি তো তাই।

আমার নানা নেহাত রসিক মানুষ ছিলেন। মাঝে মাঝেই এমন আজগুবি গল্প বলে আমাদের হাসাতেন। আমরা প্রথমে একচোট হেসে নিতান বটে। কিন্ত তার পর ভাবতে বসতাম--- সত্যিকি বুড়ো লোকটার বাবা ঠাকুর দাদা বেঁচে আছে?
তেমনি ভাবে যখন সুনলাম সিএসএম পেইজের 29 তারিখটি উৎযাপন করা হবে তখনই বুড়োর গল্পটা মনে পড়ল।
সিএসএম পেজ তো আর পরীক্ষার খাতা না যে প্রশ্ন পত্রের সঠিক উত্তর লিখতে হবে। তাছাড়া এটা কোন বাংলা অভিধান নয় যে ‘‘সকল বানান শুদ্ধ হইতে হইবে”। এখানে ও আবার আমার নানার বলা একটা গল্প মনে পড়ল। 
এক বুড়ি তার নাতীর নাম আদর করে রেখেছে ‘‘সোনা” কিন্ত আঞ্চলিম উচ্চরনে ডাকে ‘‘হো না” বলে। এক আত্মীয় এসে বলল এত সুন্দর নাম রাখলে ‘‘সোনা” কিন্ত ‘‘হোনা বলে ডাক কেন?
বুড়ি পিট পিট করে তাকিয়ে, খানিক ভেবে উত্তর দিল-
আমিতো হোনারে হোনা ই কই, তুমরা হুনতে হো ন হোনা। কবি গুরু ও সেই বুড়ির মত বলেন, 
আমি তো বানান ঠিকই লিখি। তোরা পড়তে গিয়ে ভুল করছ। 
পীর সাহেব ও এডমিনদের উচিৎ 29 তারিখ উপলক্ষ্যে বড় সড় পার্টি দেয়া। রেডিসন ব্লু কিংবা সোনার গাঁ হোটেলের ডিনার রুমে। 
ওমর কৈয়াম এর ছন্দে আমরা ও বলব
‘‘প্রথম তম মাস প্রকাশ কালে
পাঁচ তারকার ডিনার হলে
আমরা কিছু সিএসএম উম্মেদেরা
জুটবো সেথা গিয়ে---------------------।
সঙ্গে রবে সুরার পাত্র
অল্প কিছু আহার মাত্র
আর---------------------------------।
থাক, কবিতা ছেড়ে জোকসে যাই। কারন আরো নিচে গেলে এশাদ কাকু টের পাবে।
দুই বান্ধবী কথা বলছে-------
আমার স্বামীর বুদ্ধি আর হলো না
কেন?
কাল ওকে ছিনতাই কারী ধরে নাকি বলেছে ‘‘হয় প্রাণ দাও নাইলে টাকা দাও”
তারপর?
ও গাধার মত সঙ্গের সব টাকা দিয়ে এসেছে।
উকিল-আপনার বয়স কত ম্যাডাম?
স্বাক্ষী-আমি বিশটি বসন্ত দেখেছিি
উকিল-আর কত বসন্ত আপনি চক্ষু বুজে ছিলেন?
হাইজাকার এক লোককে আটকেছে!
টাকা পয়সা যা আছে দাও নাইলে প্রাণ নিব
আমার দুটোর কোনটাই নেই-----কারন আমি বিবাহিত।
বস-প্রতিদিন অফিসে আসতে দেরী করেন ব্যাপার কি?
কর্মচারী-স্যার জ্যাম
বস-জ্যামতো কি হয়েছে জ্যাম লাগার আগে আসতে পারেন না।
অন্যরা কিভাবে আসে?
কর্মচারী-স্যার ওরা আগেে এসেই তো রাস্তায় জ্যামটা লাগায়।
29 তারিখের জন্য সবাই যেই হিসাবে লিখে জ্যামের সৃষ্টি করছে তাতে কবে আড্ডা সমন্ধে লিখতে পারব--------------- আল্লা মালুম।

No comments:

Post a Comment

Comments

Not using Html Comment Box  yet?

No one has commented yet. Be the first!

rss