অফিস শেষ করে আগ্রাবাদ মোড়ে মার্কেটের সামনে গিয়েই অপু দা’কে ফোন দিলাম।
আমিঃ দাদা আমি ওয়েল ফুড এর সামনে দাঁড়ালাম,সাথে সুজন ও আছে, আসেন তাড়াতাড়ি।
অপু দাঃ দাড়া ১০মিনিট আমি চলে আসতেছি।
১৫মিনিট পর অপু দা না আসাতে আবার ফোন দিলাম......
আমিঃ দাদা আপনার ১০মিনিট হইছে!!?
দাদাঃ পুলক কাজে আটকাই গেছি ভাই, তোরা দোকানে ঢুকে খাইতে থাক,আমি আসতেছি...
আমি আর সুজন দোকানে ঢুকে জ্যাকেট জুতা দেখতে থাকলাম আর আডডার কস্টিউম ঠিক করতেছি (ফাঁকা)
৩০মিনিট পর অপুদা এসে যে একটা হাসি দিলো,কিছুই বলার নাই।আসলেই কিছু বলা যাবেনা, অসম্ভব My dear মানুষ,আফসোস এমন মানুষের সাথে কেনো কলোনীতে থাকতে এভাবে মিশলাম না!!! যাই হোক সেটা হইতো সম্ভবও হতোনা!!
গেলাম আড্ডার ভেন্যুতে তিনজন,ডেকোরেশন এর লোক কে আসতে বলা হলো।স্টেজ কোথায় হলে ভালো হবে মাপঝোক করে ঠিক করলাম,দুই পাশের পর্দা কত ফিট হবে ইত্যাদি ডেকোরেশনের লোক কে বুঝিয়ে দিয়ে প্রাইমারী একটা হিসাব নিলাম।সেইদিনই কাজির দেউরী আরেকটি স্বনামধন্য ডেকোরেশনে একই চাহিদা উল্লেখ করে হিসাব চাইলাম,একটা আইডিয়া নিলাম আমরা সঠিক আছি কিনা কেননা এই ব্যাপারে আমাদের পূর্ব অভিজ্ঞতা নাই।
একদিন সুজনের অফিসে আমরা আড্ডার ব্যাপারে মিটিং করার পর অপুদা আগ্রাবাদে একটি কাজে আসার সময় কথা প্রসঙ্গে আমাকে জিজ্ঞাসা করলো আমি আর সুজন কি একই ব্যাচ এর নাকি!!?
বললাম ৩ বছর গ্যাপ।আসলে আড্ডার কাজ করতে করতে এমনই আবেগে বন্ধুর মত চলতে থাকি ব্যাচমেট ভাবাটাই স্বাভাবিক।অপুদা ১৯৯৩,আমি ১৯৯৬ আর সুজন ১৯৯৯।মজার ব্যাপার হলো ইভেন্টের ব্যাপারে আলোচনাগুলোতে সবার মনের মিল অনেক।ডেকোরেশনে গেলাম স্টেজ এবং স্টেজের সামনের দুই পাশের পর্দার রঙ ঠিক করতে,দেখা গেলো তিনজনেই একই কম্বিনেশন টাই চয়েচ করলাম,সি এস এম বলে কথা !!
টিটু ভাই স্টেজ ডেমো 3D দেখালেন ল্যাপটপে,সবাই খুব পছন্দ করলো,সবাই খুব এক্সাইটেড।স্টেজ এর বেশিরভাগ কাজ সাদার উপর হওয়াতে স্টেজের ব্যাকগ্রাউন্ড রাখলাম কালো কাপড়ের।গ্র্যান্ড আড্ডা লোগো টিপুর দেয়া কাঠের স্যাম্পলে বসিয়ে একদিন টিটু ভাই নিয়ে আসলেন টিপুর অফিসে,
দারুন দারুন খুব ভালো লাগলো,ছবি তুলে রাখলাম।বলল ফিনিশিং হলে আরও সুন্দর লাগবে।জসিম ভাই কে চাপ দিলাম- এই ক্রেস্ট চাইই চাই।অর্ডার দেন তাড়াতাড়ি।টিটু ভাইও নরম মানুষ, কথা বলে কম এমনকি আমার থেকেও কম।মোবাইলে উনার কাজগুলো দেখলাম।আসলেই দারুন একটা টীম পেয়েছিলাম এই ইভেন্ট ম্যানেজম্যান্টে।।
টিপুকে যা যা আইডিয়া দিই সাথে সাথে লুফে নেয়,বলে বাজেটে না হলে আমি দিবো।এই সাপোর্ট টা বিশাল ছিলো।মাঝখানে বাজেট নিয়ে দৌদুল্যমান অবস্থায়ও সিদ্ধান্ত নিলাম যা যা করব ভেবেছি সবই করব।সেই ভাবনা থেকে কেউকে না জানিয়েই কেকের অর্ডার দিয়ে দিলাম,সেলফি জোনের প্রিন্টিং কমপ্লিট ইত্যাদি।।
বাকী অংশ পরে আরেকদিন...
Shajib Kumer Dey Titu Ctg Suzan Hasnat Jahed Tipu
No comments:
Post a Comment