১৮/০২/২০১৬ বিষ্যুদ বার সারাদিন গুলশান ১ এ অফিসিয়াল মিটিংএ ছিলাম। যেহেতু গুলশান ১ থেকে আতিকের অফিস কাছে তাই বিকালে কাজ শেষ করেই আতিককে ফোন দিলাম। ফোন দিয়ে জানতে পারলাম সে তারিকের ওখানে। আমি বললাম আসতেছি। গুলশান ১ থেকে একটা সিএনজিও পাচ্ছি না মগবাজার যাওয়ার জন্য। ৪০ মিনিট অপেক্ষার পর একটি সিএনজি ড্রাইভারকে রাজি করাতে পারলাম মগবাজার যাওয়ার জন্য। রাজি করিয়ে ছিলাম ও চাইবে তা দিব এই শর্তে। হাসপাতালে গিয়ে দেখি Anisur Rahman Reza ভাই, Ripon Akhtaruzzaman ভাই, Atiq Csm, Monowar Dalim Dalim, মিল্টন এবং লেনা পরিবার সহ সবাই আছে। তার মধ্যে রেজা ভাই আর রিপন ভাই তারিকের কেবিনের বিল, আর রিলিজ অর্ডার নিয়ে ব্যস্ত।
আমি যাওয়ার কিছু সময় পরে এলো Abu Naser। তারপর আমি আতিক, নাসের হোটলে গেলাম চা পরোটা খেতে। পরে আমাদের সাথে যোগ দিলেন রেজা ভাই আর রিপন ভাই। চা পরোটার পর্ব শেষে আতিক ও নাসের চলে গেলো আরামবাগে। তারপর একে একে এলো সৈয়দ বংশের পোলা Sayed Samee, Mahmudul Hasan আপেল এবং Chand Sultana বন্যা তার দুই মেয়ে (Fatima Binte Iqbal এবং নুজাইমা) সহ। আরামবাগ থেকে কাজ শেষ করে আবার আমাদের সাথে যোগ দিল আতিক ও নাসের। এরই মধ্যে রেজা ভাই আর রিপন ভাই হাসপাতালেরর সমস্ত ফর্মালিটিস কমপ্লিট করে পরবর্তী করনীয় সম্পর্কে বর্ননা দিচ্ছেন। সকালে ষ্টেশনে কে কে যাবে। কে কাকে ফোন করবে সব কিছুই পরিকল্পনা মাফিক বুঝিয়ে দিচ্ছেন। রেজা ভাই জয়দেবপুর চলে যাবে তাই উনি সব কিছু বুঝিয়ে দিয়ে আগেই বিদায় নিয়ে চলে গেলেন। রেজা ভাই চলে যাওয়ার পর আসলো Javed Sumon এবং Saiful Islam Rakib ভাই। এরই মধ্যে আতিক মিরপুর যাবে তাই আতিক ও সামি আমাদের মাঝ থেকে বিদায় নিয়ে চলে গেলো। তারপর চলে গেলেন রিপন ভাই। রাত ৮.০০ টার পর হাসপাতালে এলো Umama Iqbal। বন্যা রাতে নেত্রকোনা যাবে আর আমি চিটগাং চলে আসবো তাই আমরাও বিদায় নিতে চাইলাম।
এমন সময় বন্যা বললো চা খাবে। কোথায় খাবে জানতে চাইলে বললো নিচে টং দোকানে। নিচে চা খাবো শুনে তারিক বললো আমিও খাবো। বললাম চলো সবাই একসাথে নিচে যাই, চা খেয়ে আমরা উপরে উঠবো নিচে থেকে চলে যাবো। তারপর শুরু হলো হ্রদয় বিদারক দৃশ্য। উমামা কান্না শুরু করে দিলো, তারপরে ইনান। কান্না করতে সাত তলা থেকে সিড়ি বেয়ে নিচে লামলো। দুই মেয়ের কান্না পুরো পরিবেশটাকে ভারী করে দিলো। নিচে গেলাম চা খেলাম, তারিকও চা খেলো। কিন্তু কারো মুখে তেমন কোন কথা বের হচ্ছে না, দুই বোনের কান্না দেখে। চা খাওয়ার পর যখন চলে আসবো তখন লক্ষ্য করলাম তারিকের চোখ দিয়ে পানি পড়ছে, বন্যার চোখ ছলছল করছে। একটু পর পর চোখ মুছছে। চা শেষ করার একে একে রাকিব ভাই, আপেল, নাসের, লেনা, বাবু সহ সবার কাছ থেকে বিদায় নিলাম। আর থমথমে পরিবেশ দেখে তারিককে বেশি কিছু বলতে পারি নাই, বলেছি শুধু "আবার দেখা হবে"। কারন দুই বোনের কান্না তখনো থামে নাই। মগবাজারের মোড় এসেও দেখি চোখ মুছতেছে। দুই বোনের তাদের তারিক মামার প্রতি এমন অকৃত্রিম ভালোবাসা সত্যিই সবাইকে অবাক করে দেয়।
পরিশেষে আবার বলতে হয় Ahsanul Tarique আবার দেখা হবে অতি শীঘ্রই। আমরা সবাই চাই তুমি আমাদের মাঝে সুস্থ হয়ে ফিরে আসো। একটুও মন খারাপ করবে না। তোমার এই বিদায় সাময়িক বিদায়। তোমার সুস্থতার জন্য যা যা করা দরকার তা আমরা অবশ্যই করবো আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী। তোমাকে আমরা চাই আমাদের কলনির গোলকিপার তারিকের মতো আমাদের পরবর্তী গ্র্যান্ড আড্ডায়।
No comments:
Post a Comment