রাত ০১:৩০।।হঠাৎ কেন যেন আমাদের মসজিদটাকে খুব মনে পড়ছে।।অন্য সময় জুমার নামাযের ঠিক আগ মুহূর্তে স্মরন হতো কিন্তু আজ কেন যেন বারবার এ মুহূর্তে মনে পড়ছে।।তাই দু'কলম লিখা।।শুনেছি শুতে যাওয়ার সময় নাকি যাকে মনে পড়ে সেও নাকি তাকে মনে করে।।জানি না বিষয়টা কতটুকুন সত্য।।কম বেশি সকলেরই এই মসজিদের সাথে জড়িয়ে আছে নানান স্মৃতি।।তেমনি জড়িয়ে আছে আমারও।।শুক্রুবার এলেই যত কাজই থাকুক না কেন আমরা সকলেই প্রস্তুতি নিতাম জুমার নামাযের।।কারন নামাযটা ছিল আমাদের আল্লাহর নৈকট্য লাভের পাশাপাশি একটা মিলন মেলা।।দল বেধে সবাই যেতাম মসজিদে।।ওখানে একটা নিয়ম ছিল।।আমরা সকলে কিন্তু যে যার ইচ্ছে মতো বসতাম না।।বসতাম ব্যাচ ভিত্তিক।।যেমন ৯৪ ব্যাচের ভাইয়ারা বেশির ভাগ বসতো মোয়াজ্জিমের বাসার ঠিক পাশে লাগানো ছিল একটি নারিকেল গাছ ওখানে।।ওখানে ওনারা দাড়িয়ে গল্প করতেন,,এরপর ৯৭ ব্যাচের ভাইয়ারা বসতেন মাদ্রাসার পাশে,,আতিক ভাইয়াদের ব্যাচটাকে একেক সময় একেক জায়গায় দেখা যেত,,তবে ভেতরে কখনওই দেখা যেত না,,এভাবে আমরা সবাই সবার জায়গায় এসে হাজির হতাম এবং কেউই কারো জায়গা দখল করতাম না কারন আমরা সব সময় সিনিয়দের সম্মান করতাম যা আমরা আজও করি।তারপর নামায শুরু হলে আমরা দৌড়ে যে যোখানে জায়গা পেতাম অমনি দাড়িয়ে কোন রকম দু'রাকাত নামায আদায় শেষে মসজিদ ত্যাগ করতাম।।অনেক মানুষ হতো আমাদের এই মসজিদে।।ছোট খাটো একটা ঈদ জামাত বলা যায়।।পাশে কবরস্হান থাকায় অনেকেই আমরা জিয়ারত করতে ভূলতাম না।।আমাদের এই মসজিদ টাতে বড় একটা ঘড়ি ছিল,,জানিনা ওটা এখন আছে কিনা বা সচল কিনা।।
আমি জানি না কেন আজ এই সময় তাকে মনে পড়ছে,,হয়তো তারো আমাকে বা আমাদের মনে পড়েছে।।তবে চেষ্টা করবো ওখানে আর একবার নামায পড়তে।
জানিনা আল্লাহ রিজিকে রেখেছেন কিনা।।

No comments:
Post a Comment