Monday, March 28, 2016

লাল নীল বাতি সমাচার


সাড়ে চারটায় বাস ছাড়লো। একটু পরেই যেন ঝুপ করে সন্ধ্যা নামলো। সাথে সাথেই আলোর ঝলকানি চোখে পড়তে লাগলো। এখন সব দোকান পাট,গাড়িতে বেশ লাইটিং করা হয়। খাবারের দোকানগুলাতে ত কথাই নেই। মালিবাগে একটা দোকান আছে নাম কাকার বিরিয়ানী। ওখানে আলোর কারনে কাকাকে খুজে পাওয়া বেশ কস্টসাধ্য। সন্ধ্যার পর রাস্তায় বের হলে ভালই লাগে। কত আলো চারপাশে। রাস্তায় বিলবোর্ড, স্ট্রীট ল্যাম্প,গাড়ির হেড লাইট,ট্রাক বা বাসের নিজস্ব লাইট ছাড়াও কিছু ডেকোরেশন লাইট,বিয়ে বাড়ি হলে চোখে পড়ে মেলা আলো। যা বলছিলাম,এই আলোর ঝলকানি পুরা রাস্তা জুড়েই দেখতে দেখতে আসলাম। লাল,নীল,সবুজ,হলুদ আরো কত রঙ এর আলো। ক্ষনে ক্ষনেই উদাস হচ্ছিলাম।


আমাদের চারটা গাড়ী নিয়ে বের হলাম। আমার গাড়িটাই সামনে। পেছনের তিনটা গাড়ির প্রথমটাতে আমার দৃস্টি আবদ্ধ। আমি বসেছি ড্রাইভারের ঠিক পিছনে। আমার গাড়ির ড্রাইভার তার ড্রাইভিং কারিশমা দেখাচ্ছিল বলে দ্বিতীয় গাড়িটা মাঝে মাঝেই চোখের আড়াল হচ্ছিল। আমি গাড়ির রিয়ার ভিউ মিররে খুজছিলাম কোথায় আছে পেছনের গাড়িটা। অনেক আলোর কারনে চোখ ধাধিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু গাড়ির ওপরে থাকা লাল নীল আলোর কারনে ওই গাড়িটা detect করতে বেগ পেতে হয়নি। পরে ড্রাইভারকে বলে একসাথেই ছিলাম। রাত সাড়ে বারটা,ঘুটঘুটে আধার ভেদ করে চলছি আমরা। একসময় গন্তব্য এলো। সেই গাড়ির লাল নীল আলোটাও বন্ধ হল। সেই গাড়িবহরের প্রথম গাড়ি ছিল আমার,দ্বিতীয় টা আব্বাকে বহনকারী ফ্রীজিং ভ্যান পরে আরো দুটো গাড়ি। আব্বাকে নিয়ে গিয়েছিলাম উনার বাবা মায়ের মাঝে রেখে আসতে।

আজ সন্ধ্যার পর থেকে যত আলো দেখেছি তার মাঝে খালি লাল নীল আলোই আমার চোখে যেন বেশি পড়েছে। এই আলো আমার যেন খুব কাছের।

No comments:

Post a Comment

Comments

Not using Html Comment Box  yet?

No one has commented yet. Be the first!

rss