Monday, March 28, 2016

কোরবানীর ঈদ আসলে আমাগো মতো কিছু পোলাপাইনের মাথা হট হইয়া যায়


কোরবানীর ঈদ আসলে আমাগো মতো কিছু পোলাপাইনের মাথা হট হইয়া যায়,তখন মনে হয়C/4/F থাকতাম,বাসা থেকে গরুর হাট দেখা যেত,যেদিন থেকে গরুর হাট বসা শুরু হতো সেদিন থেকে আমি ডালিম, শিপন, বিপুল,সব সময় হাটে আসা যাওয়ায় উপর থাকতাম, মসজিদের গেইট দিয়ে বেশিরভাগ আসা যাওয়া হতো, নামাজের সময় পিছনের গেইট টা খুলতো ৩/৪মিনিট লাগতো,আর অন্য সময় বাজার দিয়ে ঘুরে যাওয়া লাগতো,একেক জনের একেক চয়েস চলতো,আর বাসায় এসে তা বণনা চলতো,গাড়ি থেকে গরু নামলেই হুড়াহুড়ি চলতো কে আগে দেখবে,এভাবে সময় ঘনিয়ে আসতো গরু কিনার,কলোনীতে কে কেমন গরু কিনলো তার গবেষনা চলতো সবসময়,আর গরু কিনার সময় তো পারলে পুরো ফ্যামিলি রওয়ানা হতাম,একলা তো গরু কিনা হতো না ভাগে গরু কিনা হতো,আমার বাসা থেকে আমরা দুইভাই এভাবে প্রতি ফ্যামিলি থেকে একজন দুজন থাকতো,যাদের কিনা হয়ে গিয়ে তারাও আবার যেতো মজা করা জন্য,বেশির ভাগ গরু ছোটদের পছন্দে কিনা হতো,যতো রাগী গরু কিনা হতো ততো মনোবল বেড়ে যেতো,আমাদের আসল উদ্দেশ গরু লড়াই করে জিততে হবে, হাট থেকে গরু নিয়ে আসার সময় গরুর রশি ধরার জন্য কাড়াকাড়ি লেগে যেতো,দাম বলার প্রতিযোগিতা চলতো,একবারতো কাগজে গরুর মূল্য লিখে দিয়েছিলাম এটা নিয়ে কতো হাসাহাসি,কলোনীর মধ্যে গরু ডুকাতে পারলে আর পায় কে তখন নিজেদেরকে মহারাজা মনে হতো,কোরবানীর আগ পযন্ত এই গরুর পিছনে সময়টা ব্যয় করা হতো,একবার ঈদের আগের দিন বিকাল বেলায় সিটাইপ মাঠে ২/৩টা গরু চড়তে ছিল,আমি আমাদের গরু নিয়ে আর একটা গরুর সাথে লড়াই লাগিয়ে দিলাম যে সে লড়াই না মনে হচেছ ইরাক আর ইরানে লড়াই থামাথামির নাম নেই আমরা তো ভয় পেয়ে গেলাম আমাদের গরু রশি ধরতে গেলাম আমি, গরু দিলো দোড়ানি আমি গিয়ে পড়লাম C/2পাশের ড্রেনে সব সময় পানি ময়লা থাকতো তখন আর কে আর কার দিকে তাকায় সোজা বাসায় আম্মা তো পারলে আমারে কোরবানী দিয়া দে সোনা রুপা পানি দিয়ে গোসল করাইয়া উত্তম মাধ্যম দিয়া চাঁদ রাতে ঘরে আটকাইয়া রাখলো,আর এখন প্রতিরাত ই একরকম মনে হয় হায়রে কলোনী কই পামু গরুর লড়াই কই পামু ড্রেন

No comments:

Post a Comment

Comments

Not using Html Comment Box  yet?

No one has commented yet. Be the first!

rss