সকাল থেকে আবার জ্বর, আর মুখের ভিতর যন্ত্রনা তো আছেই। অফিসে যেতে পারিনি আজ।ওয়ার্কিং ডে তে অফিস না করে ঘরে বসে থাকা আরেক যন্ত্রণাময় ব্যাপার, এটাতেই বুঝা যায় রিটায়ার্ড লোকেরা কেনো এত খিটমিট করে।
ছোট বেলায় জ্বর হলে আব্বা মাথার কাছে সময় পেলেই বসে থাকতো, চুলে হাত বুলিয়ে দিতো, বিভিন্ন রুপকথার গল্প বলত। এখন মাথার কাছে বসেননা, তবে দূর থেকে যে ছটফট করেন,সেটা বুঝি।খুব ছোট সময়ে একবার জ্বরে আব্বা কাগজী লেবু কেটে আমার মুখে একটু রস চেপে দিয়েছিল, সেই লেবুর ঘ্রান আমার মুখে এখনো লেগে আছে, এরপর থেকেই এই ছোট্ট ফল টির প্রতি আমার অসীম দুর্বলতা। এখনো জ্বর বা মাথা ব্যাথা হলে কাগজীলেবুর ঘ্রান নেই। বাসায় আজ লেবুটি নেই, যদি আব্বাকে বলি, তাহলে এই রোদেগরমে যেখান থেকে পারুক এটি যোগাড় করবে, তাই চুপ করে আছি, আর কষ্ট দিতে ইচ্ছে হচ্ছেনা। এমনিতেই আব্বা তার চিকিৎসা সংক্রান্ত কাজ নিজের টা নিজেই করে। খুব কমই আমি তাঁর সাথে গিয়েছি। নিজেকে খুব অপরাধী লাগে। শরীর খারাপ হলে মন দুর্বল হয়ে যায়, তাই এতো কিছু মনে অাসছে।
কলোনি তে অসুস্থ হলে, অসুখের কারনে যতনা ছটফট করতাম, তার চেয়ে বেশী ছটফটানি ছিলো বাইরে যেতে না পারার দু:খে।
একবার তো হাল্কা জ্বর নিয়ে সি টাইপ মাঠে খেলা দেখতে গিয়ে, জ্বরের দুর্বলতায় ড্রেনে পড়ে গিয়েছিলাম। (আমার এক লেখায় বিস্তারিত উল্লেখ আছে)। ক্লাস নাইনে যখন পড়ি ফুটবল খেলতে গিয়ে পায়ে প্রচন্ড ব্যাথা পেয়ে ৫ দিন জ্বরে ভুগেছি। তখন আমি
সিস্কাউটিং করতাম। এই জ্বরের জন্য নৌ বাহিনীর জাহাজে সমুদ্র ভ্রমন মিস হয়, সবাই গেলেও আমি যেতে পারিনি।এই দু:খ
এখনো পীড়া দেয়।
সবাই সবসময় সুস্থ থাকুক।
No comments:
Post a Comment