সকাল থেকেই হাল্কা জ্বর ছিল, দাঁত ফেলে আসার পর জ্বর টা বেড়েছে, একটু আগে ঘাম দিয়ে জ্বর সেরেছে, জ্বরের চেয়ে ঘাম দিয়ে জ্বর ছাড়াটা আমার কাছে ভয়ানক কষ্টকর। ঘুম আসছেনা এপাশ ওপাশ করছি। আচমকা জনির বুয়া নিয়ে লেখাটি মনে পড়ল। "বুয়া" ছোট্ট একটি টপিক, অথচ জনি কত সুন্দর ভাবে এটি ফুটিয়ে তুলেছে। আসলে কলোনি র যেকোন ছোট টপিক দিয়ে অনেক সুন্দর সুন্দর কাহিনী লেখা সম্ভব।
কলোনিতে ঢুকার পরপরই আমরা বকুলির মা নামক একজন বুয়া পাই, তার চালচলন, আদবকায়দা দেখলেই বুঝা যেত গৃহস্থ ঘরের মহিলা,ভোলার নদি ভাংগার শিকার হয়ে বুয়া গিরি করা লাগছে, প্রায় সময় তার কাছে খালি বাসার চাবি দিয়ে রাখতাম, বুয়া তালা খুলে নিজের মত করে কাজ করে চলে যেত। এতোটাই বিশ্বস্ত ছিলো। আমরা তাকে ফ্যামিলি মেম্বার মনে করতাম, আমাদের তিন ভাই বোন কে তিনি তুই করে সম্বোধন করত।বুয়ার স্বামী খুব সম্ভব ত ভ্যান বা ঠেলাগাড়ি চালাতো, তবে সসবসময় ফিটফাট থাকতো। আমি যে রাজনীতিক মতাদর্শ বিশ্বাস করতাম বুয়ার স্বামী ও একই মতাদর্শ বিশ্বাস করত, মাঝেমধ্যে এই লোক আমার সাথে রাজনীতি নিয়ে ব্যাপক জ্ঞানগভীর আলোচনা করত,আমি তার রাজনীতি সচেতনতায় বেশ চমৎকৃত হতাম এটা ভেবে একজন অশিক্ষিত সাধারণ লোক কিভাবে এতো কিছু বুঝে।
যেদিন কলোনি ছেড়ে চলে আসি সেদিন নাকি এই বকুলির মা বিলাপ করে মরা কান্না জুড়ে দিয়েছিল, তার কান্নাতে আশেপাশে অনেকের চোখ ভিজে উঠেছিল সেদিন, ভাগ্যিস এ জিনিস আমি দেখেনি, আমি সকালবেলা ই মালপত্র নিয়ে বেরিয়ে গিয়েছিলাম। এসব কান্না আমার সহ্য হয়না।
No comments:
Post a Comment