তাকে আমি কলোনীতে দেখি নাই। বুবুর সাথে আমার পরিচয় এই পেজের মাধ্যমে।
শুনেছি বড় ভাইদের মুখে কলোনীতে থাকতে খুব মুডি ছিল।কোন ছেলের সাথে কথা বলতো না।কলেজ বাসে তারা চার এক সাথে যেত।রনি আপু,মিতু আপু আর একজন কে আমি এখন মনে করতে পারতেছি না।রনি আপু ভাইদের সাথে হাসিমুখে কথা বলতো শুনেছি।কিন্তু বুবু ওরে বাবা,খুব নাকি মুড নিয়ে বসে থাকত বাকী দুজনের টা জানি না।
যা হউক এই পেজের মাধ্যমে দেখলাম তার সরব উপস্হিতি,সবাই কে পচায়,নিজে ও পচে।
তবে বুবুর একটাই দোষ অল্পতেই রেগে যায়,আর হেরে যায়।আবার নিজেই অনুতপ্ত হয়ে কাঁদে।
যখন তারিক কে দেখতে চিটাগাং থেকে সিএসএম এর চারজন প্রতিনিধি ঢাকা গিয়েছিল তখন তারা ফিরে এসে বুবুর সমন্ধে বিস্তারিত বলল।সে আমাদের ভাই গুলোকে নিজে গাড়ি ড্রাইভ করে কমলাপুর স্টেশনে পৌঁছে দিল তখন রাত মনে হয় ১০ টা।এবং যতক্ষণ ভাইরা চোখের আড়াল না হওয়া পযর্ন্ত সেখানে ছিল এবং বাসায় এসে ফোনে খবর নিয়েছে।তখন বুবুকে অন্যরকম চিনলাম।
আর আড্ডা তে বুবুর অংশগ্রহন কি রকম ছিল সেটা আমরা দেখেছি।২৮ এ জানুয়ারি রাতে ভ্যানুতে মেয়েদের ও বোনদের নিয়ে যাওয়া,অনেক সময় ধরে সেখানে সবার সাথে আড্ডা মারা, সবাই কে আপন করে নেওয়া।
আড্ডার একমাস পূর্তিতে আমি নিরু ভাইয়ের মাধ্যমে জানলাম চাচা সবাই কে ছেরে চলে গেছে না ফেরার দেশে।বুবুকে ফোন করতে পারি নাই কারণ তখন তার মনের অবস্থা কিরকম ছিল তাই,ফোন করে ছিলাম নাহিদ আপুকে ফোন ধরেছিল তাদের এক প্রতিবেশী, সে জানাল নাহিদ আপু কাদঁছে তার বাবা আর নেই।নিরু ভাই আমাকে পোস্ট দিতে বলে, আমি পোস্ট দেই, তবে আগেই আতিক ভাই পোস্ট দিয়েছিল।
বিচ্ছেদে কি যন্ত্রনা
যার চলে যায়
সে বুজে হায়।
তারপর মিলাদ এর জন্য বুবু পোস্ট করল সবাই গেলে বুবুর ভাল লাগবে,আমি আবার সেটাকে বিস্তারিত ভাবে লিখলাম,যাতে অনেকে অংশ নেয়।আমার কাছে হলে আমরা যেতাম।তারপর ও যারা গিয়েছে তাদেরকে ধন্যবাদ,বিশেষ করে,রিপন ভাই এর কথা না বললেই হয় না।সে আমাদের সিএসএম এর গর্ব।
সব শেষে বুবু প্রতিদিন বাবাকে নিয়ে কিছু না কিছু লিখছে,আজ হঠাৎ সকালে দেখলাম আমাকে নিয়ে বুবুর পোস্ট। বুবু আপনাকে কি বলব,ছোট ভাই হিসেবে খালি একটা অনুরুধ কখনো এই পেজ ছেরে যাবেন না,আর অনেকে অনেক কথা বলবে সব কথা কানে নিবেন না।আমাদের এই সিএসএম পেজের বন্ধন যাতে ভেঙে না যায়।করণ আমরা আমরাইতো।
No comments:
Post a Comment