মেয়েদের সাথে ঝগড়া করতে হয়না[অপরাজেয় বাঙ্গালী, কথাটি আমাকে বেশ কয়েক বার বলেছে]। কথাটি আসলে-ই খুব গুরত্বপুর্ন। যুক্তি/তর্কের ধার, মেয়েরা খুব একটা কেয়ার করেনা। ৯০% সংসারের মোড়ল গিরী মেয়েরাই করে থাকে।আমি নিজেও যতটুকু সম্ভব ছাড় দিয়ে যাই। বিরামহীন তর্কের যুদ্ধ, কোনো পুরুষ মানুষের পক্ষে সম্ভব না।[ ছ্যাচড়া জাতিয় হলে অন্য কথা]।দুই জন ছেলে মানুষের যুদ্ধের অবসান আছে, কিন্তু দুইজন মেয়ে মানুষের যুদ্ধ মানেই, অনন্ত কাল!! প্রমান আমাদের এই সোনার বাঙ্গলাদেশ। টিভির রিমোট থেকে একটি জাতি পর্যন্ত তাদের ক্বজায়!! হতে পারে সেটা সরাসরি কিংবা পর্দার আড়ালেও!!। কান্নাকাটি করে হলেও, তারা জিতবে!! অতএব সাধু সাবধান।
এই দুনিয়াতে প্রেম/ভালোবাসা বলে যদি কিছু থাকে, সেটা মেয়েদের কাছেই আছে। মা/বোন/স্ত্রী/ভাবি/খালা/ফুফু/চাচি/মামি/দাদি/নানি, এই সম্পর্ক গুলির সাথে বড় আবেগ জড়িত। এক দুনিয়ার ভালোবাসা, আল্লাহ পাক তাদের ভান্ডারেই দিয়েছে!! আমাদের দেশের প্রাইভেট গাড়ির ড্রাইভার'রা, সাহেবের চেয়ে মেম সাহেবকে বেশি পছন্দ করেন। কারন, মেম সাহেব'রা, আদর করে উপরে ডেকে খেতে দেন এবং বখশিশও দেন। একজন ভাই-এর জন্য, বোন-ই হলো সবচেয়ে বড় দরদি। আর খালা'তো, মায়ের চেয়েও ভালা। একজন প্রেমময় স্ত্রী, শেষ জীবন পর্যন্ত তার স্বামীকে আকড়ে থাকেন। শেষ জিবনে, বুড়া/বুড়ির সংসার, ভালোবাসায় ভরা, কাব্য/কবিতা। এবং সবার উপড়ে একজন মা। একটি সংসারের অস্তিত্ব-ই হলো, একজন মা।মায়ের শাড়ির আচল ধরা থেকে সুরু করে মায়ের হাতে খাওয়া, কথা শিখা থেকে সুরু করে, আবেগ/ভালোবাসা, হাসি/কান্না, সুখ/দুখ এই সব কিছুই, এই সব কিছুই একটা সময় আমরা মায়ের কাছ থেকেই শিখতে/শিখতে বড় হই। জন্মের পরে একজন শিশু প্রথম যে কথাটি শিখে------- "মা"।
বড়-ই জটিল এই জাতি!!! হিসাব মিলানো যায়না!! হিসাব মিলানোর দরকারও নেই!! অতএব সাধুরা আবারও সাবধান। ভালও কথা, রিক্সাচালকের সাথেও আমি তর্ক করিনা!! যদিও একজন রিক্সাচালক সাধারনত, পুরুষ-ই হয়ে থাকে!!।
No comments:
Post a Comment