মধুর ছোট মামা খুব টেনশনে আছে! চুপিচুপি সে রজকিনির সাথে দেখা করেও এসেছে! মাগো, আমাদের মধুর মা নেই। তোমার হাতে তুলে দিচ্ছি মা! আমাদের মধুকে তুমি কষ্ট দিওনা। রজকিনি তো অবাক!! জিন্স/পলো শার্ট পড়া, "ইশমার্ট" ছোট মামাটা এত আবেগী হলো কেমন করে!!?? দূর ছোট মামা, আপনি কোনো চিন্তাই করবেন না! ম্যা হু না! মধু কে আমি, শাড়ির আচলে বেধে রাখবো! বড়ই শান্তি পেলামরে মা। এই দেখো মা, আমি তোমার জন্য এপেক্স থেকে ৫ জোড়া ভেনটুরিনির স্যান্ডেল এনেছি"! আজ মধুর নানা বাড়িতে আনন্দের ঢল নেমেছে। একটু পড়েই বড়যাত্রি রওনা হবে। মধু কেবলি গাড়িতে উঠতে যাবে, তখনি বড় মামার সেই ঐতিহাসিক হুংকার সুনতে পেলো, সা--ম--নে--এ, এগিয়ে চলো! এক হুংকারেই সবাই বিয়ে বাড়িতে পৌছে গেলো। বিয়ের উকিল বাপ হলো, মধুর "পীর মামা"! মধুর এই আবদার পীর সাহেব ফেলেন কি করে? এই সব ব্যাপারে আবার পীর সাহেবের আগ্রহটা একটু বেশী এবং লজ্জা শরম টাও একটু কম!
আজ মধু/রজকিনির বড় আনন্দের রাত। আচ্ছা রজকিনি তুমি এত ঝগড়াটে কেন? আর শোনো, এখন থেকে তুমি, আমাকে আর জিভ বেড় করে ভেংগাবেনা, অসহ্য! ভেংগাবো/ভেংগাবো/ভেংগাবো! সারা জীবন ভেংগাবো! সত্যি সত্যি রজকিনি, শাড়ির আচল দিয়ে মধু কে বেধে নিলো বড় আপন করে! আর ঠিক তখনি, বড় মামার সেই ঐতিহাসিক ডায়ালগ সুনতে পেলো মধু, সা--ম--নে--এ-গি--য়ে চলো!
এখন অনেক রাত। তারা ভরা আকাশ। বারান্দায় দারিয়ে নানাজান। দূর আকাশের পানে তাকিয়ে, লক্ষ /কোটি তাড়ার মাঝে, কাকে যেন তিনি খুঁজে বেড়াচ্ছেন!!!!
No comments:
Post a Comment