Monday, April 18, 2016

এবারের কক্সবাজারের ট্যুরটা আমার একেবারেই বাজে ভাবে কাটলো


এবারের কক্সবাজারের ট্যুরটা আমার একেবারেই বাজে ভাবে কাটলো। যেদিন যাবো তার আগের দিন রাতে মেয়ের শরীরটা হালকা গরম ছিলো। মানে জ্বর উঁকি দিচ্ছিল। গাড়ি, হোটেল সব আগে থেকেই ঠিক করা বিধায় প্রোগ্রাম বাতিল করতে পারিনি। বৃহস্পতিবার সকালে যাওয়ার সময় নাপা খাইয়ে রওনা দিলাম। কক্সবাজারে দুপুরে খাওয়ার সময় মেয়ে কিছুই খেলোনা। আমাদের সাথে বেবি আপারাও ছিল। বেবি আপার হাজব্যান্ড মামুন ভাই (উনি ডাক্তার) মেয়ে দেখেই বললো ওকে এন্টিবায়োটিক খাওয়াতে হবে। কোন রকমে লাঞ্চ করে মেয়ের ওষুধ কিনে আনলাম। বিকালে ইনানী যাওয়ার সময় মেয়ের জ্বর ছিলো। কিছুই খেতে চাচ্ছে না। 

আবার জোর করে খাওয়ালে বমি করে দিচ্ছে। রাতের বেবি আপারা সহ একসাথে ডিনার করলাম। তখন মামুন ভাই বললো রাতে জ্বর বাড়লে মেয়েকে সাবোসিটার দিও। ডিনার শেষ করে আবার ওষুধের খোঁজে বের হলাম। চিপায় চাপায় ছোট ছোট ওষুধের দোকান। একটা পেলে আরেকটা পাইনা। সারারাত টেনশনে কাটলো। শুক্রবার সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি এবার ছেলের জ্বর আসলো। ছেলে মেয়ে দু'জনকেই নাপা সিরাপ খাইয়ে দিলাম। তারপর দশটার দিকে বিচে গেলাম। ছেলের গায়ে জ্বর থাকা সত্ত্বেও সে পানিতে নামলো। পানি থেকে উঠতেই চায়না। জোর করে পানি থেকে তুললাম। দুপুরে জোর করে খাওয়ানোর চেষ্টা করলাম। 


অল্প করে খেয়ে ওরা ঘুমিয়ে পড়লো। বিকালে ওদের কারনে আর বিচে যেতে পারলাম না। সন্ধায় সবাইকে নিয়ে একটু বের হলাম। আবার খাওয়ার আগে ওদের হোটলে রেখে আসলাম। রাতের খাবার শেষ করে আবার দু'জনের জন্য দুইটা সাবোসিটার কিনে আনলাম। যদি রাতে জ্বর বেড়ে যায় সেই জন্য। সেদিন রাতে আর জ্বর বাড়েনি। শনিবার সকালে হোটেল থেকে বের হওয়ার আগেও দু'জনকে নাপা খাওয়াতে হলো। বান্দরবানে যাওয়ার সময় গাড়িতে প্রথমে সাহেদের ছেলে, তারপর আমার ছেলে এবং শেষে মেয়ে বমি করলো। সাহেদের ছেলে করলো পেট ব্যথার কারনে। আমার দুইটা করলো জ্বরের কারনে। বান্দরবানে মুটামুটি সবাই সুস্থ ছিল। মানে জ্বর তেমন আসেনি। কিন্তু তারপরেও ছেলে মেয়ে দুজনই প্রানবন্ত ছিলো না।

No comments:

Post a Comment

Comments

Not using Html Comment Box  yet?

No one has commented yet. Be the first!

rss