খুব ছোটবেলার অনেক ঘটনা,স্পেশাল দিনগুলো,কে কখন কি কুকর্ম/সুকর্ম করেছিল- এসব আমার বেশ ভালভাবেই মনে থাকে বলে আমার বাবা আমাকে ডাকে সবজান্তা বলে। আমি যে অনেক কিছু জানি তার জন্য নয়,বরং যা জানি/দেখি তা অনেকদিন মনে রাখতে পারি তাই বাবার এই নামকরন। জন্ম থেকে ১৩ বছর বয়স পর্যন্ত আমি ছিলাম কলোনীতে। আমার জন্মের পর প্রথম বাসা F-9 এ, এরপর D-4 এ। কলোনী থেকে বের হবার পর আরো দুটা বাসায় আমরা থেকেছি।কিন্তু অদ্ভুত ব্যাপার হল আমি জীবনে যত স্বপ্ন দেখেছি(যেগুলো ঘুম ভাঙ্গার পরো মনে থাকে) তার সবগুলোই কলোনীর বাসা রিলেটেড। আমি স্মৃতি যা মাথায় আছে তাই দেখি। কখনো F-9 এর লম্বা বারান্দায় ছুটোছুটি করছি অন্নি আপু,নার্গিস আপু,আয়রিন আপুদের সাথে-
কখনো ডি টাইপের সামনের মাঠে বৌচি খেলছি রাহিন আপু শিমু আপুদের সাথে,
কখনো ওয়ার্কারস ক্লাবের রডগুলার উপর হাঁটছি,কখনো ই টাইপের বাগানগুলায় দৌঁড়াচ্ছি।
ঘুম ভেঙে গেলে বাবাকে বলতাম এটা ওটা দেখেছি। বাবা বলতো তোমার শৈশবটা তোমার মাথায় অনেক গভীর ভাবে গেঁথে আছে তাই তুমি সবসময়ই এসব দেখো। আসলেই তাই। আমার জীবনে আমার শৈশবের প্রভাব অনেক বেশি। এত অসাধারন শৈশব আমি পেয়েছি আমাদের কলোনীতে। আমি ভাবতাম আমিই কি এমন শুধু যে কিনা কলোনীকে এভাবে মিস করে!
এই গ্রুপে এড হওয়ার পর ভুলটা ভাংলো আর অবাক হয়ে দেখলাম কত মানুষের হৃদয়ে জড়িয়ে আছে কলোনীর সব অসাধারন স্মৃতি। গ্রুপটা রোজকার জীবনের একটা অংশ হয়ে গেছে। ঘুম ভাংলে ফেবুতে লগিন করেই গ্রুপে আসি,ঘুমোতে যাওয়ার আগেও চেক করি কেউ কিছু পোষ্ট করলো কিনা। মন খারাপেও গ্রুপের পোষ্ট পড়ি, মন ভালও হয় গ্রুপের পোষ্ট পড়ে।
কলোনীটা তো নাই,গ্রুপটাই কলোনীর একটা অংশ হয়ে মনে করিয়ে দেয় কলোনীর যত স্মৃতি।
No comments:
Post a Comment