আতিক ভাই বলছিলেন কলেজ বাস নিয়ে কিছু লিখতে।কিন্তু আমি ত কোনদিন কলেজ বাসে যাওয়া আসা করিনি।লিখি কিভাবে? বড়দের মুখে অল্প বিস্তর কিছু শুনতাম।তাই ভরসা।কেউ যখন লিখল না আমি না হয় চেষ্টা করি।
আমি বিনিতা।ছোট করে ডাকে সবাই বিনু।বড় ভাই বুবুন।আমি সবার ছোট।চট্টগ্রামকলেজ এ কেমিস্ট্রি তে এডমিশন নিয়েছি।ক্লাস পুরো দমে শুরু হয়নি। আজ পহেলা ফাল্গুন।বান্ধবী রা ডিসি হিলে যাব,বেড়াব।তাই সকাল থেকে সাজুগুজু নিয়ে ব্যস্ত।তাড়াহুড়ো করছি।কলেজ বাসে যদি জায়গা না পাই।বাসন্তী রং এর জামা পড়ে রওনা হলাম কলেজ বাস ধরতে।
কলেজ বাসে উঠলাম।কোথাও সিট খালি নেই।আমার বান্ধবী তিথি আর মিলি পাশাপাশি বসে আছে।আমার জন্য সিট কই জানতে চাইলাম।বলল রেখেছিল কিন্তু স্নিগ্ধা আপা আসাতে উনাকে দিয়ে দিয়েছেন।একটি সিট খালি আছে কিন্তু ওইখানে বসে আছেন তুহিন ভাই।উনার সাথে আমার তেমন পরিচয় নেই।দাড়িয়ে গেলে সাজ নষ্ট হয়ে যাবে এটা ভেবে উনার পাশে বসে পড়লাম।দেখলাম তিথি আর মিলি মুখ টিপে হাসছে।উনার শরীর থেকে সিগারেট আর বডি স্প্রে মিলিয়ে অদ্ভুত গন্ধ আসছে। খারাপ না।
আমি অসস্তি বোধ করছি দেখে উনিই কথা শুরু করলেন।ভাইয়ার নাম বলতেই চিনতে পারলেন।কথায় কথায় জানতে পারলাম উনিও কেমিস্ট্রি তে পড়েন চট্টগ্রাম বিশ্যবিদ্যালয়ে।আমি জানতে চাইলাম কেমিস্ট্রি কঠিন হবে কিনা।উনি বললেন একটু কষ্ট করলে ভাল রেজাল্ট করা যায়।এদিকে বাস চলা শুরু করেছে।কলোনি র ভাই বোনদের কথা তে কলেজ বাস জমে উঠেছে।উনার সাথে কথা বলতে ভালই লাগছিল।মেপে মেপে কথা বললেও সুন্দর করে বলেন।
আমি বললাম, আমি ত ছাত্রী হিসেবে মোটামুটিরকম। উনার হেল্প পাব কিনা।উনি নিশ্চিন্ত করলেন নোটস দিবেন।বাসে সবার কথা র আওয়াজে আমাদের কেউ খেয়াল করছিল না।এমন সময় বাস টাইগারপাস আসতে উনি নেমে গেলেন বন্ধুর বাসায় যাবেন বলে।বাসওয়ালার উপর খুব বিরক্তি আসল।কেন যে বাস টা এত জোরে চালায়,তাও আজকের মত একটা সুন্দর দিনে
No comments:
Post a Comment