এখন লোড শেডিং হলে বিরক্ত লাগে অথচ রাতে কলনিতে কারেন্ট গেলে খুবই ভাল লাগতো। আমার মনে হয় এমন কোন ছেলে মেয়ে নাই যার ভাল লাগতো না। পড়ালেখা করতে হইতো না। সবাই বাসা থেকে বের হয়ে যেত। যে যার মত আড্ডা দিত। সেরকম এক রাতে আমরা সবাই মিলে বড় মাঠে বসে সবাই মিলে আড্ডা দিচ্ছি। এমন সময় এক জনের বুদ্ধি এলো, সে বললো লুঙ্গি মাথায় তুলে পুরা মাঠ ঘুরতে পারবে কে? সবাইতো চুপ কারো মুখে কোন কথা নাই। মালু বললো সে পারবে কিন্তু তাকে টাকা দিতে হবে।ঠিক আছে সে মালুকে বললো তুই যদি লুঙ্গি মাথায় তুলে একবার পুরা মাঠ ঘুরে আসবি তোকে টাকা দেব।
ষ্টার্টিং পয়েন্ট হচ্ছে ই টাইপ ১২ নং বিল্ডিং এর কর্ণার থেকে। এবং সেখানেই শেষ হবে। যথারীতি দৌঁড় শুরু হলো। মালু অর্ধেকের বেশি পার করে ফেলেছে এমন সময় কারেন্ট চলে আসলো। কারেন্ট চলে আসাতে আমরা তখন অন্যপাশে চলে যায় মানে ই টাইপ ১১ নং বিল্ডিংয়ের পাশে। আমরা চলে আসার পর ওখানে আসিফের আম্মা ( লাবনিদের পাশের বাসা / মামুনদের বিল্ডিংয়ের) কয়েকজন মহিলা নিয়ে দাঁড়িয়ে কথা বলছেন। মালু এটা খেয়াল করে নাই সে মাথা থেকে লুঙ্গি নামানোর আগেই বলে টাকা দে। কিন্তু লুঙ্গি নামানোর পর দেখে আসিফের আম্মা।
আবার লুঙ্গি তুলে উল্টা পথে দৌঁড়। এমন দৌঁড় দিল একেবারে এফ টাইপ ১২ নং বিল্ডিংয়ের কোনায়। ওর দৌঁড় দেখে আমরা আস্তে আস্তে সরে পড়লাম মানে যে যার বাসায় চলে গেলাম। কারন একটু পরে ও আমাদের খোঁজতে আসবে। সেদিন রাতে আর বাসা থেকে বের হয়নি।
No comments:
Post a Comment