কিছু দিন আগে জনি এর সাথে চ্যাট করতে গিয়ে গল্পের প্যাটার্ন নিয়ে কথা বলছিলাম। অনেকটা না বুঝেই গল্পের প্যাটার্ন কি রকম হয় এইটা নিয়ে কিছু লিখবো বলে ফেলেছি। মাঝে মাঝে বোকার মতো কথা বলে বসি এইটা তার একটা উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।এখন এর দায় টানতে হচ্ছে।আমি গল্পের কোন নির্দিষ্ট প্যাটার্ন থাকে এইটা বিশ্বাস করিনা।যার যেমন ইচ্ছে শুরু করতে পারে।কোন সমস্যা নেই।তাহলে জইন্নারে আমি কি বলবো ? আমি যে প্যাটার্নে লিখি তা শেয়ার করা যেতে পারে।দেখি জইন্নার মন ভিজতেও পারে ?আমি প্রথমে কি নিয়ে লিখবো তা ঠিক করে নেই। তারপর চরিত্র গুলো কে সাজাই। আশে পাশের মানুষ গুলো কি স্ট্যাইলে কথা বলে,বিশেষ মুহুর্তে কেমন আচরন করে তা বুঝার চেষ্টা করি। সেই টাই লিখার চেষ্টা করি। একটু এক্সপ্লেইন করি।
ধরা যাক আমার গল্পের একটা চরিত্র X।এই X কে আমি Jashim ভাই ভেবে লিখবো। এখন পার্টিকুলার কোন সময়ে জসিম ভাই কেমন আচরন করবে তাই দেখানোর চেষ্টা করবো। কোন ভাবেই আমি আমার চিন্তা সেই MR X এর উপর চাপিয়ে দিবো না ।এইটা করতে গেলে গল্পের ফোকাস টা নষ্ট হয়ে যাবে।
আল্লাহ জানে জইন্না বুঝতে পেরেছে কিনা?না বুঝার কিছু নেই সে ইদানিং অনেক হাইথটের গল্প নিয়ে ভাবছে। এই রকম ডিফ্রেন্ট টাইপের গল্প পড়তে ভালোই লাগে।যাই হোক গল্পে অনেক ছোট ছোট চরিত্র আসতে পারে।সব গুলোকে খুব বেশি গুরুত্ব না দিলেও দুই/চার টা কে একটু ডিটেইলস আনা দরকার।গল্পে এই ছোট কেরেক্টার গুলোর ব্যাপ্তি কম হতে পারে কিন্তু কেন কেরেক্টার টা ঢুকে পড়েছে কত দূর পর্যন্ত এসেছে & তার পরিনতি দেখানো যেতে পারে।সারাক্ষন মুল কেরেক্টার এর উপর ফোকাস করাটা ভালো লাগে না।একঘেয়েমি চলে আসতে পারে।আমার লিখা গল্প গুলোতে এইটা চরম বিরক্তকর ভাবে চলে আসে,এই জন্য আমার কোন ফ্রেন্ড/বড় ভাই আমার গল্প পড়েও দেখে না।
গল্প আর কবিতার ভিতর একটা বড় পার্থক্য হচ্ছে কবিতায় রুপক অর্থে/সংক্ষেপে অনেক কথা বলে দেয়া যায়। কিন্তু উপন্যাসে তা করা টা অনেক বড় অন্যায় হয়ে যায়।কোন বিশেষ ঘটনা বুঝাতে গেলে যত টুকু বাক্য ব্যায় করা দরকার তাই করা উচিত।অবশ্য ছোট গল্প হলে ভিন্ন কথা,তবুও একটু ডিটেইলস বলা দরকার।
গল্পে একটু ফান না থাকলে অনেক সময় পাঠক পড়তে চায় না,হাপিয়ে উঠে।পাঠক কে ধরে রাখতে হলে এইটা ফান টা খুব জরুরি।কোন বয়সের পাঠক দের জন্য লিখা হচ্ছে তা ভেবেই ফান এর মাত্রা নির্ধারন করা দরকার।গল্প একটু ডায়লোগ রাখা টা খুব খারাপ কিছু বলে মনে হয় না।আমি পার্সোনালি গল্প বলতে স্ক্রিপ্ট বুঝি, যা দিয়ে এখনি নাটক/ ফিল্ম বানানো যাবে ,গল্পের গাথুনি টা তাই আগে থেকেই কঠিন ভাবে প্রস্তুত করে নিতে হবে।
কোন পার্টিকুলার সাবজেক্ট নিয়ে বেশি লিখলে পাঠক ভাবতে পারে তোমার লাইফে সেই সাবজেক্টের অভাব আছে তাই ডিফ্রেন্ট সাবজেক্ট নিয়ে লিখা উচিত। গল্পে বানান গুলোর প্রতি খুব যত্নবান হওয়া দরকার। একটা ভুল বানান এর কারনে অনেক সময় লেখকের পার্সোনালিটি বসে যেতে পারে।আমি ভাই কোন লেখক না। আমারে নিয়ে কেউ গুতা দিয়েন না। আমার ও প্রচুর বানান ভুল হয়।অনেক কঠিন কথা বলে নিলাম। যার একটাও আমি মেনে চলি না grin emoticon উপদেশ দিতে আমরা সর্বদা এক পায়ে দাঁড়িয়ে থাকি।আমার একআত্বীয় প্রায় আমাকে বলে আমি এই কাজ টা করতে এক পায়ে খাড়া ,তারপর ট্রান্সলেট করে বলে," আই এম স্ট্যান্ডিং ওয়ান লেগ" tongue emoticon আমি এত কাজ করতে পারি না ,বেশিক্ষন দাড়াতে গেলে পা ব্যাথা করবে।ঘুমোতেই বেশি পছন্দ করি।গল্পের প্যাটার্ন লিখার চেয়ে ঘুমানো টাই বেশি প্রাধান্য দেই।আমার মনে হয় গল্পের প্যাটার্ন কেমন হবে এই দায়িত্ব টা Ripon ভাই/Moin ভাই/Tambourine ভাই এর নেয়া উচিত।অন্যদের কথা জানিনা আমি ওনাদের পোষ্ট পড়ার অপেক্ষায় আছি।
No comments:
Post a Comment