লিখাঃ কাব্য।
আজকে দিনটা কেমন জানি,মন টা ভালো নেই,নিচে রফিকের দোকানে গেলাম।রফিক ভাই, এক কাপ চা দেন,সাথে চনামুড়িও দিয়েন।আশ্চর্য রফিক ভাই সাড়া দিচ্ছে না কেন? ভাই কি মশকরা করছেন!।প্রচুর চিল্লাচিল্লি করেও সাড়া পেলাম না।বিষন্ন মনে তাই রাস্তার বাম পাশ ধরে হাটতে লাগলাম।সবাই সবার মতো,আর আমি আমার মতো করে চলতে থাকলাম। (কিছুক্ষন পর)
ঘড়িটা এমন করছে কেনো?ঘর থেকে বের হলাম ১১.১ এ অথচ আমি প্রায় ৩ ঘন্টা ধরে হাটালাম কিন্তু এখন বাজে ১১.৩।অবাক হলাম,আরও অবাক হলাম যে এতোদুর হাটার পরও আমি মোটেও ক্লান্তি বোধ করছি না।কি সব ভুতুড়ে কান্ড ঘটছে আমার সাথে??হটাত রাস্তায় হোচট খেয়ে একজনের গায়ের উপড় পড়লাম,কোন রি একশন নাই,অবাক আর অবাক এমন মনে হতে লাগল যেন আমি তার গায়ের উপড় পড়িনি।কিন্তু আমি পড়েছি,ব্যাক্তিটি সরে যাওয়ার পরে আমি রাস্তায় ও পড়ে গিয়েছি,কিন্তু কোন ব্যাথা পাইনি,আমার শরীরের কোথাও ছিলকেও যায়নি।কি সব আজব ব্যাপার সেপার।আমি কি আদৌ এই দুনিয়াতেই আছি?নাকি অন্য জগত এ!!!
পর্ব ২
হাটছি ঠিক রাস্তার মাঝখানে।যানবাহন গুলো ছুটছে তাদের মতো করে,কখনও বা আমার পাশ দিয়ে আবার কখনও বা আমার উপড় দিয়ে।কিন্তু আমার কিছু হচ্ছে না।ঘন্টাখানিকের এমন আচরণ এ প্রায় অভ্যস্থ হয়ে গিয়েছি।জানি সবকিছু স্বাভাবিক হচ্ছে না,তবুও কেমন যেন মনে হচ্ছে আমি এই জগতেরি কেউ একজন।প্রথম দিকে মনে হচ্ছিল হ্যালুসিনেশন করছি,কিন্তু না বাস্তবেই আছি।
পর্ব ৩
মনে খুব খুশি লাগছে।যা খুশি তাই করতে পাড়ছি কেউ কোন বাঁধা দিচ্ছে না।বিটলু দের গাছ থেকে আম সব পেড়ে নিয়েছি।পাসের বাসা থেকে নুন লবন নিয়ে আমের ভর্তা বানিয়েছি।খাচ্ছি ও একা একা।কেউ দেখছে না,কেউ কিছু বলছে না।বাহ ভালোই তো,ঝাল টা একটু বেশি হলেও ভর্তা টা খারাপ হয় নি।
পর্ব ৪
হাটতে হাটতে জুবিলী রোডের দিকে চলে আসলাম।আরে একটা এক্সিডেন্ট হয়েছে বলে মনে হচ্ছে।কিন্তু আমার বোন কাঁদছে কেন??পাশে ফুফিদের কেও দেখতে পাচ্ছি।ওদিকটায় খালাও এসে গেছে।কিন্তু তারা সবাই কাঁদছে। এ এ একি পাশে এটা কার লাশ,,আ আ আমি ই তো মনে হয়।
পর্ব ৫
নিলার সাথে দেখা হলো।এতোদিন আমাকে ছাড়া সে মোটেও ভালো ছিলো না।বহু বছর ধরে তাকে দেখা হয়নি।সে এতোদিন কেমন ছিলো তা খুব জানতে ইচ্ছে হচ্ছে।থাক এসব পরে আগে আম্মুকে খুজতে হবে যে....
No comments:
Post a Comment