আমার সব বন্ধুরা স্যারের ক্লাস আমার আগে পেলেও আমি একটু দেরিতে পেয়েছিলাম। কারন আমি যে সেকশন এ থাকতাম,স্যার সে সেকশন এ ক্লাস পেতেন না। অবশেষে ক্লাস এইটে স্যার আমাদের বিজ্ঞান ক্লাসে এলেন। কিন্তু তার আগে ক্লাস সেভেনে স্যারের বাসায় আমি অংক করতে যেতাম।আমি,নাসিম আর জিকু। সকাল ৭ টার দিকে।
আমার গলার ভয়েস ছিল লাউড। তাই মাঝে মাঝে কথা বললে মুনতাহা র ঘুম ভেংগে যেত।তখন স্যারের বেতের বাড়ি খেয়ে গলা নামিয়ে নিতাম। স্যারের কাছে উৎপাদকে বিশ্লেষণ সহ অন্য অংক করা শিখেছিলাম।
স্যার যখন বিজ্ঞান ক্লাস নিতেন, তখনো স্যারের মার খেয়েছি তবে দুষ্টুমির জন্য। পড়া শিখলে স্যার খুব খুশি হতেন। আবার পড়া দিতেন মেপে মেপে যাতে ছাত্রের জন্য প্রেশার না হয়।
পরীক্ষার হলে স্যার কিভাবে যেন নকল করছে কে তাকে ধরে ফেলতেন। স্যারের চোখ ফাঁকি দিয়ে কেউ এ কাজ করতে পারত না।তাই স্যার যেদিন পরীক্ষার হলে ডিউটি দিতে আসতেন,সেদিন মোটামুটি তটস্থ থাকতে হত।
স্যার কথা বলার সময় হাসতেন, সেই হাসিতে থাকত একরকম শুদ্ধতা। কাউকে অসম্মান করা পছন্দ করতেন না, প্রতিবাদ করতেন।ছাত্রদের মানসিক গঠনে স্যারের খুব দারুন ভূমিকা রাখতেন।এজন্য ছাত্র রা স্যার কে অনেক পছন্দ করত।
আজ স্যারের জন্মদিন। অনেক দিন হয়েছে স্যারের সাথে দেখা হয়নি।সারাজীবন স্যার আমাদের মানুষ করার জন্য অনেক পরিশ্রম করেছেন। আজ স্যারের সন্তানেরা মানুষ হবার পথে। ইচ্ছা করে স্যার কে কখনো অসম্মান করিনি, অলক্ষ্য এ হয়ত আমাদের কোন আচরনে কষ্ট পেয়ে থাকতে পারেন, যা হয়ত মন থেকে চাইনি কোনদিন। কারন আপনার আশীর্বাদ আমাদের পথ চলার পাথেয়।
ভাল থাকবেন স্যার।জন্মদিন এর অনেক অনেক শুভেচ্ছা থাকল আপনার জন্য

No comments:
Post a Comment