কলোনি লাইফ এ ডাব চুরি , সে এক মজার ও অ্যাডভেঞ্ছারাস অভিজ্ঞতা। এরকম এক রমাজানের দিন আমাদের বাসায় (BH/1) আসলো আমার জেঠাতো ভাই (মেজ জ্যাঠার ছেলে)। এসে কলোনি দেখে উনি তো বেজায় খুশি। রাতে তারাবির নামায পড়বেন বলে আমাকে নিয়ে বাসা থেকে বের হলেন। বের হয়ে বললেন "তোদের কলোনিতে এতো এতো নারকেল গাছ। তোদের তো হেভি মজা।" আমি কিছু বুজলাম না। সিঁড়ি দিয়ে নামার সময় বললেন, "ডাব খাবি?" আমি এতক্কখনে বুজলাম ওনার খুসির কারন।
আমি বললাম "এখানে তো সবার নামে নারকেল গাছ আছে। আমাদের ও আছে।" উনি বললেন "আরে তোদের গাছ থেকে কে খেতে চাচ্ছে। ওই গাছ থেকে খাব" ওটা মনে হয় জলিদের গাছ ছিল। একেবারে সিঁড়ির পাসে। আমি বললাম ধরা খেলে খবর আছে। উনি বললেন চিন্তা করিস না। আমাকে সিঁড়িতে পাহারায় রেখে উনি চললেন গাছে উঠতে। গ্রামের ছেলে তো ভীষণ এক্সপার্ট। তরতর করে গাছে উঠে গেলেন। উঠে তো চিন্তায় পড়ে গেলেন, কোনটা রেখে কোনটা খাবেন।ভেবে চিনতে একটা ডাব নিলেন। কিন্তু নিচে ফেলতে পারচেন না।
কারন একপাসে সিঁড়ি আর অন্যপাশে মসযিদ। সিঁড়ি দিয়ে অনেকে নামাযে যাচ্ছে। এমন সময় উনি খেয়াল করলেন একটা ঝুনা নারকেল ওনার দিকে জুলজুল করে তাকিয়ে আছে। উনি লোভ সাম্লাতে নাপেরে একটু ধরে দেখতে চাইলেন। ব্যস অম্নি সেটা খুলে হাতে চলে আসলো। এইবার তো পড়লেন ফাঁপরে। দুই হাতে দুই নারকেল নিয়ে গাছে বসে রইলেন যতক্ষণ না নামায শুরু হয়। এদিকে আমি তো টেনশনে অস্থির। না জানি কি হয়। যদি ধরা খাই? একটু পর নামায শুরু হলে দেখি উনি দুই হাতে দুই নারকেল নিয়ে আসতে আসতে নেমে আসচেন। নামার পর এখন চিন্তা হল কই খাওয়া যায়? পরে বললেন চল ছাদে যাই।
আমি রাতে কখনও ছাদে উঠি নাই। উনি আমক ধরে ছাদে উঠালেন। তারপর আর কি। দাত দিয়ে নারকেল ছিলে দুই ভাইয়ে খাওয়া শুরু করলাম। খাওয়া শেষে যখন বাসায় আসলাম তখন তারাবির নামায শেষ হল। বাসায় ঢুকতেই আম্মা বলল কিরে নামায পড়েছিস? ভাইয়া বলল জি চাচি, একদম ঠিকঠাক মত পরেছি।
No comments:
Post a Comment