বিদ্যুৎ সংকটের জন্য কলোনী তে সন্ধ্যা থেকে রাত নয় টা পয্যন্ত ষ্ট্রীট ল্যাম্প বন্ধ রাখতে হচ্ছে। তবে বাসায় বিদ্যুতের কোন সমস্যা হচ্ছেনা, কিন্তু রাস্তা গুলো রাত নয়টা পর্য্যন্ত অন্ধকার থাকতো। এমনি এক সণ্ধ্যায় ইউনুসের দোকানের সামনে আমরা আড্ডা মারছি, দেখলাম এক লোক আমাদের কাছে আসছে এবং যে বাসায় যাবে, সে ওই বাসা চিনেনা, ওরে খোদা, কি তামশা সে দেখি কলোনীর এক ভয়াবহ ত্যাদড় লোকের এক আত্নিয় ,আর বাসার ঠিকানা নিচ্ছে আমাদের কাছ থেকে !!!!!!!!!( আর আমরাও ভূল ঠিকানা দিয়া দিছি) আর তার হাতে দেখলাম মিষ্টির পোটলা , ঐ ত্যাদড় ব্যাটা তো আমাদের সারা জীবন জালাইছে, এখন তার আত্নিয় রে আজকে খবর করে দিব, েমানে তার মিষ্টির পোটলা কেড়ে নিব। যথারিতী আমি, রাশেদ (পলা বা মরাইয়া) মনিরুল (মইয়ু), দুলি একশনে নামলাম ওই মিষ্টি অলা ব্যাটারে ফলো করতে করতে বড় মাঠের কোনায় গিয়ে অন্ধকারে ঝোপের কাছে যে মুহূর্তে মিষ্টির পোটলা টান দিব অমনি আমাদের সামনে তাপস দা হাজির , উনারে দেখে আমরা পুরা ভদ্র, কিন্ত চেহারার কাচুমাচু ভাব দেখে তাপস দা ঠিকই বুঝলেন আমরা কোন আকামে আসছি, উনার জেরার মুখে সব কিছু স্বিকার করলাম, উনি সব শুনে আমাদের উল্টা ঝাড়ি মাইরা বললেন”আরে গাধারা তোরা এই কাম করবি তো আমারে দেইখ্যা ডরাস ক্যান আমি কি তোদের বাইরের কেউ”, কিন্ত ততক্ষনে আমাদের শিকার হাওয়া, তাপস দা বললেন আচ্ছা ঠিক আছে নেক্সটে ঠিক মতো করিস আর আমার ভাগ রাখিস।
তাপস দা কলোনী টা আর নেই, কেউ আর মিষ্টির পোটলা হাতে আমাদের ঠিকানা জিগ্গেস করেনা, আমি জানি ওপার থেকে আপনি সব দেখছেন।
তাপস দা আপনি কি এটা দেখেছেন, সব কিছু আমরা গড়ে নিয়েছি আগের মতো করে, কারও আর সাধ্য নেই এটা বন্ধ করার। আপনি ও আসুন প্লিজ, যদি দীপক দা র সাথে দেখা হয় তাকেও বলুন সব আগের মতো হয়ে গিয়েছে, ট্যাংকীর নীচের আড্ডাটা আবার জমে উঠেছে।
No comments:
Post a Comment