কলোনীর আনাচে কানাচে অনেক ঝোপ জংগল ছিলো সেই ঝোপ জংগল এ রক্তচোষা নামক একটা প্রানী দেখা যেতো। খুবই নিরীহ একটা প্রানী।আমরা যখন ছোট ছিলাম তখন ধারনা করতাম এই প্রানীটা মানুষের শরীরের রক্ত চুষে খায় তাই এর নাম রক্তচোষা। এই রক্তচোষা শিকার করে হত্যা করাট ছিলো আমাদের একটা খেলা যেহেতু তারা আমাদের রক্ত চুষে খায় তাই তাদের শিকার করে হত্যা আমরা খুব উল্লাস প্রকাশ করতাম। রক্তচোষা শিকার করতাম নারিকেল এর শলা বা কাঠি দিয়ে ফাদ তৈরি করে সংগী ছিলো দুলি ভাই,আনু ভাই সমু ভাই, মনিরুল,ডালিম,বিপুল,মিলটন।
শিকার করাটা খুব একটা সহজ কাজ ছিলো না নিজের শরীরের রক্ত বাচায়ে শিকার করতে হতো,, আমাদের ধারনা ছিলো মানুষের নাভি থেকে হা করে দূর থেকে রক্তচোষা রক্ত চুষে খায় তাই আমরা শিকারের সময় এক হাতে নাভি ধরে রাখতাম। এতো সাবধানতার পর ও কেউ কেউ দুর্বল অনুভব করতাম ভাবতাম রক্তচোষা বুঝি রক্ত খেয়ে ফেলেছে। শিকার এর পর ওই নিরীহ প্রানী গুলাকে C-11 বিল্ডিং এর সামনের গার্ড রুম এর রেলিং এ ঝুলিয়ে গুলাল মেরে হত্যা করতাম আর উল্লাস প্রকাশ করতাম এর সবই ছিলো ছেলে মানুষী চিন্তা আর খেলা। এখন ওই সময়কার ওই খেলাটাকে খুব নির্মম আর পৈশাচিক মনে হয়। এখন আসি আসল রক্তচোষাদের কথায়। গুটি কয়েক সত্যিকারের রক্তচোষা ছিলো দেশের সবচেয়ে বড় এই মিলটিতে যাদের লুটপাট আর লুটপাট করা টাকার উল্লাস ই ছিলো সত্যিকারের পৈশাচিক উল্লাস। যার কারনে সি এস এম নামক প্রতিষ্ঠানটি আজ শুধুই ....
No comments:
Post a Comment