জসিম: আমি হইলাম পালের গোদা। নইম্মাটা না চিটাগাং আসিয়াছিলো..? থাকলে সি,এস,এম টিভিতে আমারে একটু দেখাইতো। অবশ্য সেদিন এক কমেন্টসে বলিলাম-“কলেনীর তোর বোনটা যে আমার বোন”- তাহলে রুবা আমার বৌ হইলো কেমনে..? আমি কি শীতকালের ওয়াজ গরম কার বলিলাম..? চিন্তার বিষয়।
শাহীনঃ মন গোমরা হইয়াছে- লাভ ক্ষতির অংক লইয়া। আসা ও যাওয়ার সিএনজি ভাড়া 450 টাকা। বেল্ট খুলিয়া খাইয়াও 350 টাকার বেশি উশুল হইলো না। 100 টাকা লছ। বরিশালের ছেলেদের অভিধানে লছ থাকতে নাই। ও পাইয়াছি, আসল বিবাহের সময় এক হালি লইয়া আসিয়া খাইয়া বাকি টাকা উশুল করিবো।
পীরঃ ইয়া রাব্বুল আল-আমিন- আমার নাজরানা বেনসন এর প্যাকেট না পাঠাইয়া উহারা খাইতে বসিলো- উহাদের সুপের বাটিতে – গায়েবী মাছি চালান দিবার ব্যবস্থা করিতেছি.........।
টিটুঃ বিবাহের একমাত্র যৌতুক হিসাবে পাওয়া কোটটা কাউকে দেখাইতে পারি নাই-এই সুযোগে সবাইকে দেখাইয়া দিলাম।
নাজমুলঃ সকালে রুটি বানানোর বেলুন দিয়া মারিয়া- বউ মুখের এক সাইডে ফুলাইয়া দিয়াছে- ভয়ে আছি, আতংক রিপন আবার দেখিলো কি না.......।
কুমুঃ মাঝে মাঝে মিটিংয়ের নামে ইটিং টা খারাপ লাগে না।
টিংকুঃ বউ, চিন্তা করিও না । আমার নিকট আত্নীয়র কোটের পকেটে করিয়া তোমার জন্য অন্থন আনিবার ব্যবস্থা করিতেছি।
ফয়জুল আমিনঃ রাসেল, বলিতেছে সবাইকে চক চক লাগিতেছে- আসলে সবাই বাসায় যাইয়া কি জবাব দিবে- এই ভাবিয়া ভয়ে মূখ লাল হইয়া সবাইকে চক চক লাগিতেছে।
মামুনঃ বুবুকে ছাড়া খাবার গলা দিয়ে নামিতেছে না। আহা, ফেসবুকের মাধ্যমে বুবুকে যদি অন্থন পাঠাইয়া দেওয়া যাইতো....।
টিপুঃ সুজন, এখন তো হাসিতেছো, বিয়ের পর কান্নার পানি রাখিবার জন্য- স্টীল মিল কলোনীর ট্যাংকি ভাড়া নিও।
জাপানী বাবুঃ আমাকে ডাকিয়া আনিয়া চাইনিজ খাওয়াইয়া- জাপানী হইতে চাইনিজ বাবু তে রূপান্তরের পায়তারা করিতেছে.......।
পুলকঃ হ্যালো বউ, এখন আমি কোথায় আছি..? আমাদের বিবাহ বার্ষিকির জন্য লোকেশন দেখিতে আসিয়াছি। কোন অনুষ্ঠানে নয়, অনুষ্ঠান হইলেতো তোমাকে নিয়ে আসিতাম।
সুজনঃ টাকা পয়সা দিলাম আমি, বড় ভাইয়েরা খাইয়া আমারে সুধু আইঠা সুপের বাটি ধরাইয়া দিলো। সারা জীবন বিবাহের আগের বৈঠকে খাইয়া শরীরটা বানাইলাম- নিজের বিয়ের সময় সবার পরে খাইতে হইলো-সত্যিই সেলুকাস বিচিত্র এ বিয়ে............।
No comments:
Post a Comment