Sunday, January 31, 2016

আপ্যায়ন


আপ্যায়ন শব্দটির সাথে আমরা সবাই পরিচিত। কিন্তু কাউকে আপ্যায়ন করতে গিয়ে সব কিছু জোগাড় করা, তদারকি করা যে কি পরিমান কষ্ট সাধ্য কাজ তা একমাত্র যে করে সে জানে। আমাকে গ্র্যান্ড আড্ডার আপ্যায়ন কমিটির প্রধান করা হলো। পূর্বের অভিজ্ঞতার কারনে আমি প্রথমে রাজি ছিলাম না।কিন্তু বড় ভাইদের চাপাচাপিতে আমাকে দ্বায়িত্ব নিতে হলো। আমার কমিটির যারা ছিল তারা ছাড়াও বাকিরা সবাই আমাকে সাহায্য করবে, এই শর্তে রাজি হলাম। তারপর শুরু হলো আমার ছুটাছুটি। টিংকু, হিমেল, সুমন, সজিব এবং বাকিদের সাথে ফোনে কথা বলে যাত্রা শুরু করলাম। শাহাবুদ্দিন লিটন (অর্থ কমিটির সদস্য) আমাকে অভয় দিলো এবং সারাক্ষণ আমার পাশে ছিল। 


২৮ তারিখ বিকালে দেখা পেলাম এক অপরাজেয় বাঙ্গালিকে। বড় ভাইদের বেঁধে দেওয়া শিডিউলের বাইরে আয়োজন করা হয় রাতের খাবার। রাতের খাবার খেয়ে সবাই যে যার মত চলে যায়। থাকলাম শুধু আমি, লিটন, সজিব এবং রাজিব। রাত দুইটার সময় পলাশ এসে আমাদের অবাক করে দিল। পলাশ চলে যাওয়ার পর আমরা চারজন খোলা আকাশের নীচে সারারাত কাটিয়ে দিলাম। (মাসুক ভাই আমাদের কাজের জন্য একজন লোক দিয়েছিল উনিও আমাদের পেয়ে একটু ঘুমিয়ে নিলো।) রাত তিনটায় কারেন্ট চলে গেলে মাসুক ভাইকে ফোন করি। কারন জেনারেটর এর মিস্ত্রী না থাকায় জেনারেটর চালু করা যাচ্ছে না। কারেন্ট না থাকার ফলে কোন কাজ করা যাচ্ছে না। কিছুক্ষণকা কারেন্ট আসলে আবার কাজ শুরু হয়। সকাল (২৯/০১/১৬) ৬.০০টায় লিটন আর সজিব গেলো মুরগি আনতে। বাকী থাকলাম আমি আর রাজিব। সকাল সাতটায় রাজিব আমাকে জোর করে পাঠিয়ে দিল বাসায়। 

আমি যাওয়ার পর মাসুক ভাই আসে সাইকেল চালিয়ে। বাসায় যাওয়ার কিছু সময় পর লিটন ফোন দিয়ে বলে দোকানদার আমাদের চাহিদামত মুরগি দিতে পারছে না। যা পেয়েছে সজিব টিপুর পিকআপে করে নিয়ে এসেছে। বাকি মুরগির জন্য কোন রকমে ড্রেস পাল্টিয়ে আবার বেরিয়ে পড়লাম। মুরগি কিনে স্পটে যাওয়ার পর দেখি সকালের নাস্তা তখনো পৌঁছায় নাই। দিলাম ফোন ইমরুল সমনকে। কিছুক্ষণ পর নাস্তা নিয়ে সুমন স্পটে আসে। মুটামুটি ভাবে সমস্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন হলো। খাওয়া দাওয়ার পর্ব কোন বিশৃঙ্খলা ছাড়াই শেষ হলো। একেবারে শেষের দিকে এসে আমি আপ্যায়ন কমিটির লোক হিসাবে আমাকে না জানিয়ে আরেক কমিটির লোক এসে শারীরিক শিক্ষা কলেজের কয়েক জন ষ্টাফকে প্যাকেট দিয়ে দিলো। যার কারনে মাসুক ভাই আর লিটনের পরিবারকে রাত বারটার সময় রান্না করে খেতে হয়েছিল। সবশেষে সবাই চলে যাওয়ার পর আমি, লিটন এবং মনু আমরা বের হলাম রাত সাড়ে এগারোটার পরে।

আমি কতটুকু সফল হয়েছি জানিনা। যদি সামান্য কিছু সফলতা পেয়ে থাকি তা আমাদের সকলের। আর ব্যর্থতার দায় ভার শুধুমাত্র আমার একার।

পরিশেষে Anisur Rahman Reza ভাই, Jashim Uddin ভাই,Nazmul Huda ভাই,Mdnurul Kabir Niru ভাই, Masuk Elahi ভাই, Reajul Islam Shahin ভাই সহ সকল বড় ভাইদেরকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানায় আমাকে স্বাধীন ভাবে কাজ করতে দেওয়ার জন্য। আরও ধন্যবাদ জানাই Shahabuddin Liton, Muhammad Moinul Huda,Mohammad Nazrul, Sariful Alam Sumon, Azahat Hemal, Imrul Islam,Shojib Rahman, এক অপরাজেয় বাঙালী সহ আরো অনেককে যারা আমাকে বিভিন্ন ভাবে সাহায্য করেছে।

No comments:

Post a Comment

Comments

Not using Html Comment Box  yet?

No one has commented yet. Be the first!

rss