চিটাগং ছাড়ার সময় সব সময়ই মন খারাপ হয়।কিন্তু এবার সেটা মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে।আড্ডা থেকে ফিরে রাত থেকেই মন খারাপ পরদিন ঢাকা ব্যাক করতে হবে।মন খারাপ থাকলে যা হয়,মেজাজও খারাপ হল সাথে।সকালে অকারনেই ছেলেটা বকা খেলো।পতিদেবও দুরে দুরে থাকে,রাগটা কখন কার উপর গিয়ে পরে বলা যায়নাতো।এদিকে আব্বার শরীর টাও ভালোনা।ট্রেনের উদ্দেশ্যে যখন সবাইকে ছেড়ে সি এন জি তে উঠলাম আমার মনে হল কিছু ফেলে যাচ্ছি, মুল্যবান কিছু। আমার প্রাণের শহরে আমার প্রাণের মানুষ গুলোকে ফেলে যাচ্ছি আমি।
এত কষ্ট কোথায় রাখি আমি।নিজের অজান্তেই চোখের পানি বাঁধ ভাংগলো।আজকে সিএনজি এত দ্রুত যাচ্ছে কেন?একটুও জ্যাম নেই রাস্তায়। স্টেশনে নামতেই অনিকার সাথে দেখা।ওরাও যাচ্ছে এই ট্রেনে।ভিতরে যেতেই দেখি রেজাভাই, জসিমভাই, রিপনভাই, রুবেল ভাই।আমার হাসি দেখে বরের কথা"কি এখন ভাল্লাগতেসে?"রিপনভাইয়ের ফ্যামিলি আর রুবেলভাইয়ের ফ্যামিলি ঢাকা যাচ্ছে।রেজাভাই জসিমভাই আসছে রিপনভাইপত্নীর কাছে দরখাস্ত করে রিপনভাইকে হস্তগত করার জন্য মানে রিপন ভাইকে চিটাগাং এ রেখে দিবে।রিপন ভাই থেকে যাচ্ছে চিটাগাং এ।স্টীলার রা কি না পারে।উনারা সফল।ট্রেনে উঠতে গিয়ে দেখলাম রিনিও যাচ্ছে ঢাকা।ফিরতে হবে সবাইকেই।
ভাললাগার শহরকে ছেড়ে ভাললাগার মানুষজনকে ছেড়ে চলে যাচ্ছি স্বাভাবিক জীবনে সেই যান্ত্রিক জীবনে।চট্টগ্রাম আমি আসবো আবার তোমার কাছে সুযোগ পেলেই।আসতেই হবে।
No comments:
Post a Comment