আড্ডা নিয়ে কিছু-সিরিয়াস ও রসাত্মক লিখা রেডি করেছিলাম। কিন্ত যে হিসাবে কম্বল থেকে পশম উঠা শুরু হয়েছে তাতে আমার এলেখা লেখলে দেখা যাবে শেষে কম্বলই থাকবে না। তাই আপতত প্রেম ও বিয়ে নিয়ে কিছু ধারকরা কৌতুক কে গুছিয়ে লিখলাম-
বিয়ে হলো জটিল একটা জিনিস। ওরস্যালাইনের মত এক মুঠো প্রেম, আধসের ভালবাসা আর এক চিমটি প্রতারনাকে লম্বা একটা চাওয়া যাওয়ার ফর্দ দিয়ে ঘুটা দিলে যে জটিল যৌগটি প্রস্তত হয় তাকে ঠিক বিয়ে না বলে বিয়ের আধুনিক সংস্করণ বলাই ভাল।
একটা রঙ্গ মনে এলোঃ প্রচন্ড বৃষ্টি হচ্ছে, সাথে বজ্রপাত। এই মাঝে মোটামুটি নিরাপদ একটা জায়গায় প্রেমিকের ছাতার তলায় দাঁড়িয়ে সুন্দরী প্রেমিকা জিজ্ঞেস করলো,
-আমাকে অনেক ভালবাসো তাইনা?
-হ্যা, তোমার জন্য মরতেও পারি আমি।
-তাহলে আমাকে একটা বজ্র ধরে দাওনা, আমার অনেক দিনের শখ একটা বজ্র ধরে দেখি।
-ওমা!! তাহলে তো আমি মরে যাবো!
-ধুর! এই মাত্র না বল্লে তুমি আমার জন্য মরতেও পারো। আর এখনি সেটা ভুলে গেলে?!
তখন চোখ পিটপিট করে প্রেমিকের উত্তর,
-না-মানে, আমি মরে গেলে এমন সময় তোমার মাথায় ছাতা ধরবে কে?েইস কী হেভি ভালবাসার নমুনা-----
আর একটা রঙ্গ শোনাই,
সদ্য বিবাহিত স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হচ্ছে কার প্রেমের পরিধী কত বড় তা নিয়ে। স্ত্রীর কথা দিয়েই শুরু করা যাক।
-আমার প্রেমের কাভারেজ বেশি, একদম গ্রামীণ ফোনের নেটওয়ারর্কের মত। গ্রামীনের নেটওয়ার্ক যেমন সারা বাংলাদেশ কভার করে তেমনি আমার প্রেমও সবসময় তোমাকে ঘিরে থাকে।
-ওহ্ আমারটা আরো বেশি, এয়ারটেলের মত। তুমি কি জানো ভারত ছেড়ে (এখন বাংলাদেশেও এয়ারটেলের নেটওয়ার্ক পাওয়া যায়।
-কিন্ত এর সাথে প্রেমের কি সম্পর্ক?
-না মানে-তোমার আরো দুটো বোন আছে তো, তাই বললাম আর কি! বাহ কী ব্যাপক প্রেমের পরিধী!!
ছেলে পক্ষ এসেছে মেয়ে দেখতে। অনেক বড় ঘরের ছেলে। যথাসম্ভব খাতির যত্ন করে যথাসয়ে মেয়ে দেখানো হলো। মেয়েও পছন্দ হলো এবার দেনা-পাওনার ব্যাপার। তো শুনুন তাদের কথোপকথন-
-বেয়াই, আমার ছেলে বিরাট লায়েক। সবগুলো ভাইয়ের মধ্যে সেরা। তো এর সাথে মেয়ে দেওয়ার জন্য খরচাপাতি করতে আপনার আপত্তি নেইতো?
-না না বেয়াই আপত্তি থাকবে কেন? বলেন কি করতে হবে?
-এই ধরুন একটা মটর সাইকেল, ফ্রিজ, টিভি, কম্পিউটার, সেগুন কাঠের খাট, ছোফা, টেবিল চেয়ার, ল্যাবতোষক, কম্বল, ডায়মন্ডের আংটি, হাত ঘড়ি, মেয়ের জন্য 10 সোনার গয়না, বর যাত্রিদের সবার জন্য নতুন কপড় আর নগদ 10 লক্ষ টাকা। কি রাজি?
-জি রাজি। তবে বেয়াই আমি তো আপনাদের সব দাবী এক কথায় মেনে নিলাম। একণ আপনারাও উচিত আমার একটা দাবী মেনে নেওয়া-তাই না?
-ছেলের বাবা ভাবলো মেয়ের বাবা যখন সব দাবী মেনে নিয়েছে তখন তার একটা দাবী না মানলে খুব খারপ দেখায়।
-ঠিক আছে বলেন। আমি আপনার দাবী রখব।
-কথা দিলেন তো?
-হ্যা কথা দিলাম।
-না মানে বলছিলাম কি-আমার একমাত্র দাবী হলো আমি কিছুই দিব না। মেয়ে ছাড়া।
নে বাবা সব গেলো। বুঝুন একমাত্র দাবীর ঠেলা।
সব রঙ্গ মিলিয়ে না হয় বিয়ে হয়ে গেলা। এখন সে বিয়ের সমাপ্তিটা শুনুন।
অতর্কিত বিষক্রিয়ায় স্ত্রী মৃত্যুর শষ্যায় কাতর। শেষবারের মত সে তার স্বামীকে কাছে ডেকে নিয়ে বলছে।
-ওগো, আমিতো চলে যাচ্ছি-যাবার আগে শেষ বারের মত আমার সব দোষ কবুল করতে চাই। তাতে করে মরার পরে একটু শান্তি পাব।
-আহা থাক না-কি দরকার এখন এসব কথা শুনে। তুমি বরং একটু আরাম করার চেস্টা কর।
-না ওগো আজ আর আমাকে মানা করো না। সব বলতে দাও। তোমার শখের যে আয়নাটা ছিল তা আর কেউ না আমি নিজেই ভেঙ্গেছিলাম।আমি প্রতিদিন তোমার পকেট থেকে টাকা চুরি করতাম।
-ঠিক আছে বাদ দাও ও কিছু না।
-শুধু তাই না-আমি তোমার বন্ধু মাহমুদের সাথে গোপনে প্রেম করতাম যখন তুমি বাসায় থাকতে না।
এবার স্বামী ছলছল চোখে স্ত্রীকে বললো।
-তাহলে আমাকেও আমার দোস কবুল করতে দাও। যাতে তুমি মরে গেলেও আমি শান্তি পাই।
-তুমি আবার কি করলে?
-না মানে তোমার চায়ের যে বিষ ছিল, তা আমিই দিয়ে ছিলাম!!!
হা-হা-হা বুঝুন এবার সুতরাং সাবধান বিয়ের আগে সাত সাতা 49 বার বেভে নিয়েছিলেন তো---
No comments:
Post a Comment