ব্লাড নিয়ে এইটা আমার দ্বিতীয় লিখা। চট্টগ্রাম সিটি কলেজে পড়াশোনা করার সময় আমি যুব রেড ক্রিসেন্ট সিটি কলেজ ইউনিট এর একজন সদস্য হই। পরবর্তীতে ব্লাড বিভাগীয় প্রধান হই। এর পর থেকে ব্লাড নিয়ে কাজ শুরু। ২০০৭-২০১২ পর্যন্ত আমি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কাজ করেছি। রেড ক্রিসেন্ট করার সময় আমার যুব প্রধান আমাকে সাহস দেয় ব্লাড দেয়ার । সেই থেকে বিদেশ আসার আগ পর্যন্ত ১২ বার ব্লাড দিয়েছি । যখনি কেউ কল দিত ব্লাড দেওয়ার জন্য চলে যেতাম ।কেউ কে চিনতাম না।কিন্তু রক্ত দিয়েছি । এই জন্য অবশ্য আম্মা অনেক বকা দিত। বলত্ নিজের শরীরে রক্ত নাই উনি অন্যেরে রক্ত দেয় ।কিন্তু রক্ত দিলে মনের মধ্যে একটা শান্তি কাজ করে।।মানুষ মন থেকে দোয়া করে।জীবনে একটা ভাল কাজ করতে পারি এই রক্ত দান করে।আমরা অনেক রক্ত দিতে ভয় করি। কিন্তু ভয়ের কিছু নাই। ।।।তাই হইত অনেকেই আমার ব্লাড নিয়ে প্রথম লেখায় লাইক দিলেও তাদের ব্লাড গ্রুপ কী তা লিখেনি।।।।
আমাদের এই গ্রুপ টা হচ্ছে আমাদের কলোনীর মিলন মেলা, প্রাণের স্পন্দন, আমাদের সুখ দু:খ, প্রেম ভালোবাসা, হাসি আনন্দ, মজার সব অভিজ্ঞতা একে অপরের সাথে শেয়ার করার মাধ্যম। তবে এসব শেয়ার করতে গিয়ে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে যে, কোন নেগেটিভ বিষয়ে, বা কারও কোন দুর্বল বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে যেন সরাসরি কারো নাম প্রকাশ না পায়, আমরা কারো নাম দিয়ে এমন কিছু প্রকাশ করবনা যাতে করে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বিব্রত হয়, আমাদের জুনিয়র সিনিয়র সকলের অনুভূতি ও সম্মানের প্রতি শ্রদ্ধা রাখব। অশ্লীল যেকোন কিছু পোষ্ট করা থেকে বিরত থাকব।
No comments:
Post a Comment