Monday, August 1, 2016

খুব একটা বেশিদিন আগের কথা নয়

- Atiq CSM

খুব একটা বেশিদিন আগের কথা নয়। হয়ত বিশ বাইশ বছর আগের হবে। ‘ঈদ মোবারক’ বা এই টাইপের বিভিন্ন স্টাইলিশ কাগজে লেখা রঙিন কার্ডে এরকম মিষ্টিমধুর ভাষায় বা ভালোবাসার উপমায় নানা ছড়া-ছন্দ কেটে ইংরেজী বা বাংলায় ঈদ শুভেচ্ছা পাশাপাশি প্রেমিক প্রেমিকার ভালোবাসা বিনিময়ের প্রচলন ছিল। বিশেষ করে রমজানের শুরু থেকেই বড় মার্কেট থেকে শুরু করে পাড়া মহল্লা আর গ্রাম-গঞ্জের দোকানগুলো রঙিন হয়ে উঠতো বর্ণিল ডিজাইনের ঈদকার্ড আর ভিউ কার্ডে (নায়ক-নায়িকাদের ছবিও থাকতো)।

শুধু মার্কেট বা পাড়ার দোকানগুলোতেই নয়, পাড়ার ছেলেরা শামিয়ানা টাঙিয়ে তার নিচে টেবিল সাজিয়ে বসতো ঈদকার্ড বিক্রির জন্য।সাথে বাজতো উচ্চস্বেরে হিন্দি গান। কার্ডগুলোকে আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপনে সেগুলো মোড়ানো থাকতো স্বচ্ছ পলিথিনে। তরুণ-তরুণীরা সাজানো কার্ডগুলোর মধ্য থেকে পছন্দমতো কিনতো প্রিয়জন বা বন্ধু-বান্ধবীর জন্য।

পাড়া-মহল্লার এসব দোকান শুধু বিক্রয় কেন্দ্রই নয়, ছিলো এলাকার তরুণদের আড্ডার জায়গাও। তাই বেশ কয়েকটা চেয়ার পাতা থাকতো সেসব অস্থায়ী দোকানের সামনে। কার্ড ক্রেতা ছাড়াও সেখানে আড্ডা জমতো পাড়ার ছেলেদের। ঈদের বেশ আগেই যেন আনন্দ লেগে থাকতো সবার চোখে-মুখে।

কে কাকে কী লিখে ঈদকার্ড দিচ্ছে এ নিয়ে চলতো নানা কৌতূহল। প্রিয়জনের কাছ থেকে বিশেষ কার্ডটি পাওয়ার বা দেওয়ার আশায় দিন গুনতো অনেকেই। অবশেষে কোনো এক কাঙ্ক্ষিত দিনে প্রিয়জনের কাছ থেকে সেই কার্ড পাওয়ার অথবা দেওয়ার পর ঈদ আনন্দ যেন বেড়ে যেত বহুগুণে!

কিন্তু একসময় ঈদকার্ডের সেই জায়গা দখল করলো মোবাইল ফোনের এসএমএস। শুভেচ্ছা বার্তা লিখে পাঠিয়ে দেওয়া হতো কাঙ্ক্ষিত মানুষের নম্বরে। উত্তরে আসতো পাল্টা শুভেচ্ছা বার্তা। সে ধারা কিছুট িহলেও চলছে এখনো।
আর এখন তো স্মার্ট ফোনের যুগ, আর প্রায় সবারই রয়েছে অন্তত একটি করে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট। টুইটার, হোয়াটস অ্যাপ, ইমোসহ অন্য যোগাযোগের অ্যাপস ব্যবহার করছেন অনেকে। তাই জন্মদিনের শুভেচ্ছা হোক বা ঈদের, সবাই এখন সামাজিক যোগাযোগের এসব মাধ্যম ব্যবহার করেই শুভেচ্ছা বিনিময়ে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে।

ভালো একটা ঈদ কার্ডের ছবি ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহ করে নিয়ে সেটাই পরিচিতজনদের ফেসবুক ওয়ালে পোস্ট করে বা মেসেজ আকারে পাঠিয়ে দিয়ে চলে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়। পাশাপাশি অন্য যোগাযোগ মাধ্যমতো রয়েছেই। ঈদ শুভেচ্ছা এখন পুরোপুরি ডিজিটাল!

সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যমের প্রভাবে আজ বিলুপ্ত প্রায় ঈদ কার্ডে শুভেচ্ছা বিনিময়ের সেই সংস্কৃতি। হয়তো আজকালকার তরুণ-তরুণীরা জানেও না এসব কার্ডের কথা।

ঈদকার্ড বিক্রির আর আদান প্রদান সেই সোনালি দিন গুলো এখন ধূসর অতীত।

আজ সাইফুল আমিন চাচার ১ম মৃত্যুবার্ষিকী

- Atiq CSM

আজ সাইফুল আমিন চাচার ১ম মৃত্যুবার্ষিকী, এটা আগেই পোস্ট আকারে দিয়ে দিয়েছি। কলোনি তে চাচার সাথে সালাম দেওয়া নেওয়া ছাড়া তেমন কোন কথা হতোনা। তবে চাচার সাথে দুবার দুটো ব্যাতিক্রমি ঘটনা ঘটেছিল। এর একটি ছিল প্রত্যক্ষ আরেকটি ছিল পরোক্ষ।

ঘটনা ১, প্রত্যক্ষ -
কলোনি থেকে আমরা দু তিনজন মেইন অফিসের দিকে যাচ্ছি, তিনজনের পরনেই ছিল লুঙ্গী। ঠিক ওই সময়েই চাচা অফিস থেকে বের হচ্ছিলেন, আমাদের লুঙ্গী পড়ে অফিসের দিকে ঢুকতে দেখেই দিলেন রাম ধমক, কেন আমরা লুঙ্গী পড়ে অফিসে ঢুকছি? চাচার ধমক খেয়ে সুড়সুড় করে আবার কলোনিতে ফিরে এলাম, এরপর থেকে আর কখনো লুঙ্গি পড়ে অফিসের দিকে যাইনি।

ঘটনা ২, পরোক্ষ -
টাকাপয়সা প্রয়োজন হলে ভুয়া অসুখের কথা বলে মেডিকেল থেকে ঔষধ তুলে যে বাইরে বিক্রি করে দিতাম আমরা কয়েকজন সেটা আমি আমার আগের কিছু পোস্টে উল্লেখ করেছি। আমার বন্ধু রা পালা করে কিছু দিন পরপর মেডিকেল থেকে ঔষধ তুলতাম, এমন করে আমার পালা এলো, মেডিকেল ডাক্তারের কাছে যেতে হলে আবার বাপের ডিপার্টমেন্ট এর বসের সিগনেচার সহ স্লিপ নিতে হয়। এখন কই পাই এই জিনিস। বাপ তো জানে আমার কোন শরীর খারাপ না। সো, বাপের কাছে এই স্লিপের কথা বলা যাইবোনা, বললেই ঝাড়ুর বারি খাইতো হইব। সমাধান দিলো Monirul Islam Monir, এই শালা কোত্থেকে জানি একটি ব্লাংক স্লিপ যোগাড় করে দিলো। কিন্ত বাপের বসের সিগনেচার কই পাই? তখন আব্বার ডিপার্টমেন্ট এর চীফ ছিলেন সাইফুল আমিন চাচা। এরপরই করলাম আসল কাজ, পুরান কিছু অফিসিয়াল কাগজে চাচার সাইন দেখে তা মনিরুলের দেয়া রিকুইজিশন স্লিপে আমিই চাচার সাইন নকল করে বসিয়ে দিলাম। এরপরে দুরুদুরু বুকে ডাক্তার দেখিয়ে মেডিকেল থেকে ঔষধ তুলে সোজা মেইন গেইটের অপজিটে এ, কে ফার্মেসী তে বিক্রয়। 

আসলে তখন আমরা এত দু:সাহসী, বেপরোয়া আর অবশ্যই বোকা ছিলাম, না হলে একবারও চিন্তা করলাম না, আমি কি কাজ টা করতে যাচ্ছি, আর এর সংগে যে আমার বাবারও মান সম্মান জড়িত ছিল।

এই সব কাজের ( আসলে হবে অকাজ) জন্য খুবই অনুতাপ লাগে। মনে মনে তাদের কাছে সবসময় ক্ষমা চাইতে থাকি।

ক্রিকেট খেলাটা ভালো-ই বুঝতো

- Anisur Rahman Reza

ক্রিকেট খেলাটা ভালো-ই বুঝতো। বলটাকে কিভাবে সুইং করাতে হবে? ফিল্ডিংটা কিভাবে সাজাতে হবে? মোটামুটি ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ ছিলো। ঘাড়ের রগটা সামান্য একটু বাকা ছিলো। যা বলবে মুখের উপর বলে বসতো। আজ ছোট ভাই মিঠুর জন্মদিন। একটি পরিবার হয়ে আমরা বড় হয়েছি। দারুন একটি ছেলে। সবসময় পাশে পেয়েছি এই ছোট ভাইটিকে। মিঠুদের ব্যাচটি-ও ছিলো দারুন। মিঠু/অপু/মিতু/মোরশেদ/টিটু[ডাক্তার চাচার ছেলে]/টিটু/সেকান্দার সাথে নুরু এবং আমাদের csm-পেজের সবার ভালোবাসার মানুষটি-নাজমুলও এই গ্রুপটির সাথে মিলেমিশে ছিলো। এই ছোট ভাইগুলি, বিশেষ করে, নাজমুল/অপু/টিটু/মিতু এবং মিঠু, আমাদের csm-পেজকে আলোকিত করে আছে। অজস্র ভালোবাসা তোদের জন্য।

আজকের এই দিনটিতে, মিঠুর বাবা[আমাদের সাইফুল আমিন চাচা] এই দুনিয়া ছেরে চলে গেছেন। দেখতে/দেখতে ১ বছর হয়ে গেলো। আবার মিঠুর জন্ম-তারিখটিও আজকে। 

মিঠুর জন্মদিনের শুভকামনা-csm পেজের পক্ষ থেকে। দুই মেয়ে নিয়ে, মিঠু/পান্নার সংসার সুখে শান্তিতে ভরে উঠুক। সবশেষে আল্লাহ পাকের কাছে এই কামনা করি- আজকের এই তারিখে, বাবা হারানোর কস্টটা-ও যেন, মিঠু কাটিয়ে উঠতে পারে। আল্লাহ পাক আমাদের চাচাকে বেহেস্ত নসিব করুন।

২০ শে আগষ্ট রোজ শনিবার, সি এস এম পেইজের শুভ জন্মদিন

- Jashim Uddin

২০ শে আগষ্ট রোজ শনিবার, সি এস এম পেইজের শুভ জন্মদিন, মানে শুভ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। আর এই প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীকে ঘিরে সেদিন সন্ধ্যায় আগ্রাবাদস্হ (ব্যাংকক সিঙ্গাপুর মার্কেটের বিপরীতে) গুলজার কনভেনশান সেন্টারে জমজমাট আড্ডা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। উক্ত অনুষ্ঠানে সবাইকে স্বপরিবারে উপস্হিত থাকার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।তবে ভুলে গেলে চলবে না সি এস এম আড্ডা মানেই খাবারের আয়োজন। সেদিন আরো একটি মেজবানের আয়োজন থাকছে । আড্ডা,গান,মেজবান আশা করি দিনটিক আমাদের স্মরনীয় হয়ে থাকবে।আসুন সবাই স্বপরিবারে যোগদান করি।
তারিখ:২০.০৮.২০১৬
রোজ শনিবার,সময়: সন্ধ্যা ০৭ ঘটিকা
স্হান: গুলজার কনভেনশান সেন্টার,আগ্রবাদ(ব্যাংকক সিঙ্গাপুরের বিপরীতে)
চাঁদার পরিমান: জন প্রতি ২০০ টাকা
(পাঁচ বছর বয়স পর্যন্ত ফ্রি)
যাদের কাছে এন্ট্রি ফি জমা দিয়ে কুপন নিতে পারবেন:
মো: দিদারুল আলম খোকন
মো: কমর উদ্দিন
মোয়াজ্জেম হোসেন বাবু
আসলাম উদ্দিন মামুন
ইমদাদুল হক পরাগ
মনিরুল ইসলাম খান লিটন
মো: নজরুল ইসলাম টিংকু
সুজন হাসনাত
শাকিল
তানজিনা বশর
ঝুমুর ঝুম ঝুম
তানিয়া
ফারহানা শাম্মী
আয়োজনের সার্বিক তত্বাবধানে রয়েছেন বড় ভাই মো: মোজাম্মেল হক শরিফী।সার্বিক সহযোগীতায় জিয়াউল হাসান জিয়া।
এন্ট্রি ফি জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ১৫.০৮.২০১৬
সারা দেশের স্টীলারদের অংশ গ্রহনের সুযোগ রয়েছে। কারো কোন প্রশ্ন বা সাজেশান থাকলে কমেন্টের মাধ্যমে জানানোর অনুরোধ রইল।

Comments

Not using Html Comment Box  yet?

No one has commented yet. Be the first!

rss