Friday, August 28, 2015

“ প্যাঁড়া “


কলোনি থাকাকালীন সময় সবচেয়ে প্যাঁড়া ছিল স্কুল এর পরীক্ষা, এর চেয়েও প্যাঁড়া ছিলো পরীক্ষার পরে খাতা দেওয়া, খাতা বাসায় নিয়ে যাওয়া, খাতায় বাবার স্বাক্ষর নিয়ে আসা, উফ ……, নাম্বার ভালো হলে বাসায় খাতা দেখাতাম আর খারাপ হলে খাতা ব্যাগ এর মধ্যেই থাকতো প্রতিদিন বাসায় জেরার সম্মুখীন হতে হতো আজকে কোন খাতা দিছে কিনা

একদিন মালেক স্যার তার সাবজেক্ট এর খাতা দিলেন , নিয়ম মত বাসায় দেখিয়ে বাবার স্বাক্ষর নিয়ে আসতে হবে, খুবই খারাপ অবস্থা, বাসায় দেখালে মাইর একটাও মাটিতে পরবে না কি আর করা, খাতা দিন ব্যগ এর মধ্যে রেখে দিলাম, পরে আম্মুর স্বাক্ষর নিজেই মেরে দিয়ে স্যারকে জমা দিলাম


স্যারকে বললাম আব্বা নাই , আর বাসায় বললাম স্যার খাতা আনতে দেয় নাই, খাতা দিয়ে আবার নিয়ে গেছে, বাসায় বললাম ৭৮ নাম্বার পাইছি, ইস্ আর এর জন্য ৮০ পাই নাই !!!

মালেক স্যার আমার নাম দিয়েছিলেনপাটওয়ারী “, সবসময় পাটওয়ারী বলেই ডাকতেন এই খাতা জালিয়াতির / দিন পর আব্বা আমাকে নিয়ে গেলেন স্যার এর লাইব্রেরী বই-খাতা কিছু কিনার জন্য স্যার আব্বার সাথে কিছুক্ষন কথা বলার পর বললেনছেলের খাতা দেখছেন ? “ আব্বা বললেন খাতাতো দেখি নাই, আপনি নাকি বাসায় আনতে দেন নাই !!! ছেলেতো বলল নাম্বার ভাল পাইছে !!! “ স্যার আব্বার কথা শুনে অবাক হয়ে গেলেন !!!

আমারতো পানি শুকিয়ে গেছে ততক্ষনে, স্যার আমার দিকে তাকিয়ে তার দোকানের ছেলেকে বললেন, “...... ক্লাস এর ...... সাবজেক্ট এর পরীক্ষার খাতা গুলো নিয়ে আয়
আর যাই কোথায় , খাতা বের হয়ে এলো, রেজাল্ট জঘন্য মাএ একান্ন ( ৫১ )
এরপরের অবস্থা কারো বুঝতে সমস্যা হওয়ার কথা না


আল্লাহ মালেক স্যারকে বেহেশতবাসি করুন

No comments:

Post a Comment

Comments

Not using Html Comment Box  yet?

No one has commented yet. Be the first!

rss