ঘুড়ি উড়ানোর কথা কেউ বলছেনা কেন
? কলোনির থাকা অবস্থায় অগণিত
Exciting কাজের মধ্যে ঘুড়ি উড়ানোটা প্রথম দিকেই থাকবে ।
আমার মনে আছে, আমি ১ম ঘুড়ি কিনেছিলাম আব্দুল ভাইয়ের দোকান থেকে,
তখন কেন যেন আমি ঘুড়ি উড়াতে চাইলেও বদ ঘুড়ি উড়তো না,
তখন বড় ভাইদেরকে বলতাম ভাই একটু ঘুড়িটা উড়িয়ে অনেক উপরে তুলে দেন,
তারা উড়িয়ে ঘুড়ি উপরে তুলে দিতেন এরপর আমি নাটাই ধরে বসে থাকতাম,
আমার কোন ভুমিকা নাই,
আমার ঘুড়ি উড়তেছে,আমি হাতে নাটাই নিয়ে ঘুড়ির দিকে তাকিয়ে আছি,
বাহ্ ... দারুন মজা । কয়েকদিন পরে অবশ্য আমার হাতেও ভালোই উড়তো ঘুড়ি।
ঘুড়ি বাখাডা হওয়া ( কাটা কাটিতে কেটে যাওয়া ঘুড়ি
) এবং বাখাডা ঘুড়ি ধরতে যাওয়া নিয়েও সবারই আছে অনেক মজার সৃতি । ঘুড়ি বানানোর এবং উড়ানোর আলাদা আলাদা ফর্মুলা ছিল,
অনেকে ঘুড়ির সুতা প্যাঁচানোর জন্য নাটাই হিসাবে স্পেশাল নাটাই ব্যাবহার করতো,
তবে আমার মনে হয় সবচেয়ে বেশি ব্যাবহার হত রুটি বানানোর বেলুইন
!!! রুটি বানানোর বেলুইনে যখন ২/৩ বান্ডিল সুতা প্যাঁচানো হতো,
সেটা হতো দেখার মত,
মনে হতো বেলুইন এর টিউমার হয়েছে
!!!
সবচেয়ে বেশি এক্সসাইটিং ছিল কাটা কাটি করানোর জন্য ঘুড়ির জন্য সুতা বাছাই করা এবং সুতা মাঞ্জা দেওয়ার জন্য নিত্য নতুন ফর্মুলা বের করা,
সুতা মাঞ্জা দেওয়ার কিছু কমন ফর্মুলা ছাড়াও
, হাস্যকর,
অদ্ভুত ফর্মুলাও ছিল,
আবার অনেকের কাছে ছিলো মাঞ্জা দেওয়ার স্পেশাল সিক্রেট
( Secret ) ফর্মুলা। সবচেয়ে বড় কথা হল,
এই মাঞ্জা ফর্মুলা মোতাবেক মাঞ্জার উপকরন জোগাড় করে,
কবিরাজের মত মাঞ্জা কিন্তু নিজেরাই বানাতাম এবং লাগাতাম।
আমার ফর্মুলা ছিলো কমন,-
** কাচের গুড়া (উফ... জোগাড় করাটা ছিল দারুন ঝামেলার ব্যাপার,
নষ্ট টিউব লাইটতো বাংলাদেশে নাই মনে হতো
)
** আঠা হিসাবে সাগু। ( আমাদের সময়ের জ্বরের রুগীর প্রধান খাদ্য
)
আরো কিছু জিনিস ব্যাবহার করতাম মনে হচ্ছে,
কিন্তু এখন মনে পড়ছে না
!!!
আজকে কি ঘূড়ি স্পেশালিষ্টরা তাদের মাঞ্জা ফর্মুলা শেয়ার করবেন
? দেখা যাক কার ফর্মুলা কত বেশী স্পেশাল ছিলো ।
No comments:
Post a Comment