- Javed
পেনসিলে আকা পরী (২)
------------------------
পরী, বহুদিন পর তোকে আবার দেখলাম
অনুভব করলাম।
আমি ভেবেছিলাম তোকে ভুলেই গেছি
ভেবেছিলাম বুকের ভিতর আটকে থাকা কাটা টা
বোধহয় ক্ষয়েই গেছে কিংবা খসে গেছে।
ভুল যে ভেবেছিলাম তা তো বুঝতেই পারছিস।
যন্ত্রনা ভুলতে তাই আবার
বেচারা কবিতার উপর নির্যাতন।
অফিসের কি একটা কাজে অন্তর্জালে
তথ্য অনুসন্ধান করছিলাম
হঠাৎই দেখলাম তোর ছবি।
মুহূর্তেই ফিরে গেলাম
আমার সুখময় যন্ত্রনার দিনগুলোতে।
দেখলাম বিয়ে করেছিস।
তোর বর মশাই চমৎকার।
আমার মত ছিবড়ে না।
সেই যে কবে এই ছেলেটাই
আমাকে ফোন করেছি্ল তাইনা?
আচ্ছা তুই আমাকে টিএসসি তে
ওভাবে রিকশা থেকে ফেলে দিয়েছিলি কেন বলতো?
ব্যাপারটা কত অদ্ভুত ছিল তুই বুঝতে পারিস?
ওখানে বসে থাকা ছেলেমেয়ে গুলো
অবাক হয়ে দেখছিল আমাকে।
আরেকদিন বায়না ধরলি ইসলামপুরের ভিড়ভাট্টায়
আমাকে নিয়ে ঘুরবি, আজব সব আবদার তোর।
মিরপুর থেকে সদরঘাটের বাসে যেতাম
পুরান ঢাকার জিন্দাবাহার লেন।
গাড়ির নাম "ইউনাইটেড এক্সপ্রেস"।
উঠেই অন্তর্জালে তোর সাথে আলাপ শুরু হত।
সদরঘাটের বাসে বসে থেকেই
আমি চলে যেতাম বসরার গোলাপ বাগানে।
তাঁতিবাজারে গিয়ে যখন নামতাম
তখন আমি গোলাপ গন্ধে সুবাসিত।
এমনি তার সুবাস যে
মিটফোর্ডের গলিটা মৌ মৌ করত সুবাসে।
পরী, বিজয় স্মরনিতে যে তোকে
পাগলের মত খুজে বেড়াচ্ছিলাম মনে আছে?
তুই দাঁতের মাজনের কি একটা বিজ্ঞাপনের
বিলবোর্ডের নিচে অন্ধকারে দাঁড়িয়েছিলি
আর আমি সন্ধ্যার ঘরে ফেরা মানুষের
দুর্গম ট্রাফিক থামিয়ে রাস্তার এপার ওপার করছিলাম।
তোকে খুঁজে পেয়ে বাকরুদ্ধ হয়ে
তোকে নিয়ে হাঁটতে হাঁটতে বিজয় স্মরনির অপর প্রান্তে।
র্যাংগস ভবনটা গুঁড়িয়ে গেছে অনেকদিন হল
মজার ব্যাপার সেই দাঁতের মাজনের বিজ্ঞাপনের জায়গাতে
এখন একটা ডেন্টাল ক্লিনিক মাথা উঁচু করেছে।
তুইতো জানতিনা তোর দেয়া শোক ভুলতে
তোদের শহর ছেড়ে পালিয়েছিলাম আমি।
চাইলেই কি পালিয়ে থাকা যায়?
তুই কি পালাতে পারলি?
আবার তো দেখলাম তোকে।
আমিও পারলাম কই, সেইতো ফিরে এলাম।
পাঁচ বছর পর আবার ফিরলাম সেই শহরেই।
এখন এই শহরের পথে আমি মাথা নিচু করে হাঁটি।
লজ্জায়, ভয়ে। যদি কখনো তুই আমাকে দেখে ফেলিস।
মনে আছে তোকে গীটার বাজিয়ে শুনাতাম?
জানিস,সেই গীটারটা আর বাজেনা।
পাঁচ বছরের অবহেলায় ক্ষয়ে গেছে একদম।
ফিরে এসে অনেক আদরে হাতে নিয়েছিলাম গীটারটা।
অভিমান ভাঙাতে পারিনি আর।
সুখ গুলো সব একে একে
হারিয়ে যাচ্ছে জীবন থেকে।
পরী, বাঁচার তাগিদে আমাকে এই শহরেই থাকতে হবে।
জীবন বড় নির্মম। জীবন লজ্জা অপমান বোঝেনা।
জীবন না বুঝুক তুইতো বুঝিস।
কখনো যদি পথে দেখা হয় আমাকে ডেকে উঠিস না।
তোর উপর আমার কোন রাগ নেই আর।
আমাকে একটু মাথা উচু করে দেখার সাহস দে,
কতদিন আকাশ দেখিনা আমি।
(০৭/১১/২০১৩)
পেনসিলে আকা পরী (২)
------------------------
পরী, বহুদিন পর তোকে আবার দেখলাম
অনুভব করলাম।
আমি ভেবেছিলাম তোকে ভুলেই গেছি
ভেবেছিলাম বুকের ভিতর আটকে থাকা কাটা টা
বোধহয় ক্ষয়েই গেছে কিংবা খসে গেছে।
ভুল যে ভেবেছিলাম তা তো বুঝতেই পারছিস।
যন্ত্রনা ভুলতে তাই আবার
বেচারা কবিতার উপর নির্যাতন।
অফিসের কি একটা কাজে অন্তর্জালে
তথ্য অনুসন্ধান করছিলাম
হঠাৎই দেখলাম তোর ছবি।
মুহূর্তেই ফিরে গেলাম
আমার সুখময় যন্ত্রনার দিনগুলোতে।
দেখলাম বিয়ে করেছিস।
তোর বর মশাই চমৎকার।
আমার মত ছিবড়ে না।
সেই যে কবে এই ছেলেটাই
আমাকে ফোন করেছি্ল তাইনা?
আচ্ছা তুই আমাকে টিএসসি তে
ওভাবে রিকশা থেকে ফেলে দিয়েছিলি কেন বলতো?
ব্যাপারটা কত অদ্ভুত ছিল তুই বুঝতে পারিস?
ওখানে বসে থাকা ছেলেমেয়ে গুলো
অবাক হয়ে দেখছিল আমাকে।
আরেকদিন বায়না ধরলি ইসলামপুরের ভিড়ভাট্টায়
আমাকে নিয়ে ঘুরবি, আজব সব আবদার তোর।
মিরপুর থেকে সদরঘাটের বাসে যেতাম
পুরান ঢাকার জিন্দাবাহার লেন।
গাড়ির নাম "ইউনাইটেড এক্সপ্রেস"।
উঠেই অন্তর্জালে তোর সাথে আলাপ শুরু হত।
সদরঘাটের বাসে বসে থেকেই
আমি চলে যেতাম বসরার গোলাপ বাগানে।
তাঁতিবাজারে গিয়ে যখন নামতাম
তখন আমি গোলাপ গন্ধে সুবাসিত।
এমনি তার সুবাস যে
মিটফোর্ডের গলিটা মৌ মৌ করত সুবাসে।
পরী, বিজয় স্মরনিতে যে তোকে
পাগলের মত খুজে বেড়াচ্ছিলাম মনে আছে?
তুই দাঁতের মাজনের কি একটা বিজ্ঞাপনের
বিলবোর্ডের নিচে অন্ধকারে দাঁড়িয়েছিলি
আর আমি সন্ধ্যার ঘরে ফেরা মানুষের
দুর্গম ট্রাফিক থামিয়ে রাস্তার এপার ওপার করছিলাম।
তোকে খুঁজে পেয়ে বাকরুদ্ধ হয়ে
তোকে নিয়ে হাঁটতে হাঁটতে বিজয় স্মরনির অপর প্রান্তে।
র্যাংগস ভবনটা গুঁড়িয়ে গেছে অনেকদিন হল
মজার ব্যাপার সেই দাঁতের মাজনের বিজ্ঞাপনের জায়গাতে
এখন একটা ডেন্টাল ক্লিনিক মাথা উঁচু করেছে।
তুইতো জানতিনা তোর দেয়া শোক ভুলতে
তোদের শহর ছেড়ে পালিয়েছিলাম আমি।
চাইলেই কি পালিয়ে থাকা যায়?
তুই কি পালাতে পারলি?
আবার তো দেখলাম তোকে।
আমিও পারলাম কই, সেইতো ফিরে এলাম।
পাঁচ বছর পর আবার ফিরলাম সেই শহরেই।
এখন এই শহরের পথে আমি মাথা নিচু করে হাঁটি।
লজ্জায়, ভয়ে। যদি কখনো তুই আমাকে দেখে ফেলিস।
মনে আছে তোকে গীটার বাজিয়ে শুনাতাম?
জানিস,সেই গীটারটা আর বাজেনা।
পাঁচ বছরের অবহেলায় ক্ষয়ে গেছে একদম।
ফিরে এসে অনেক আদরে হাতে নিয়েছিলাম গীটারটা।
অভিমান ভাঙাতে পারিনি আর।
সুখ গুলো সব একে একে
হারিয়ে যাচ্ছে জীবন থেকে।
পরী, বাঁচার তাগিদে আমাকে এই শহরেই থাকতে হবে।
জীবন বড় নির্মম। জীবন লজ্জা অপমান বোঝেনা।
জীবন না বুঝুক তুইতো বুঝিস।
কখনো যদি পথে দেখা হয় আমাকে ডেকে উঠিস না।
তোর উপর আমার কোন রাগ নেই আর।
আমাকে একটু মাথা উচু করে দেখার সাহস দে,
কতদিন আকাশ দেখিনা আমি।
(০৭/১১/২০১৩)
No comments:
Post a Comment