কলোনিতে সবচেয়ে বেশি ডাব গাছ
ছিলো কাশেম আঙ্কেলের
(যাকে আমরা সুদি
কাশেম হিসেবে চিনি),
বেশিরভাগ গাছ তিনি
নিজেই লাগিয়েছিলেন এবং তার
হাতের উপরেই বড়
হয়েছিলো, তবে
আমার মনে হয়
তিনি তার লাগানো গাছের ২০ % এর
বেশি ভোগ করতে
পারতেন কিনা সন্দেহ আছে। আঙ্কেলের স্ত্রী আমরা
নানি বলতাম, নাকি
আন্টি বলতাম মনে
করতে পারছি না,
উনি সম্ভবত অসুস্থ ছিলেন, তাই ওনাকে দেখলে
অনেক বয়স্ক মনে
হত, কানে
ভালো শুনতেন না,
তার সাথে জোরে
জোরে কথা বলতে
হত, চোখেও
ভালো দেখতে পেতেন
না, দিনের
বেলাতেও পাশে দাঁড়িয়ে থাকলে বা দুষ্টামি করলেও চিনতে পারতেন না
কে করছে !!! জিজ্ঞেস করতেন,
“ ওডা তুই কার
ফোয়া “
একদিন
আঙ্কেলের গাছে ডাব
অপারেশ করবো, আমি,
সুমন, হিমেল,
সোহেল, রাতের
বেলায় গেলাম বুইজ্জার বাগানে, F-2 এর সামনে,
বিল্ডিং থেকে দূর
হবে অনেক, কোন
লাইট নেই, ঘুট-ঘুটে অন্ধকার। আমরা চুপি
চুপি গাছের নিচে
পজিশন নিলাম, এমন
সময় আন্টি ঘর
থেকে বের হয়ে
বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছেন।
সোহেলকে বললাম গাছে
উঠে যা, সোহেল
বলল, “ বেটা
চোখে দেখস না
!! আন্টি ( কাশেম
আঙ্কেলের বৌ ) বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছে !! আন্টি
আগে ঘরে ঢুকুক
!!!"
তাইতো
!!! আমি সাহস দিয়ে
বললাম, ধুর… আন্টি
কানে কম শুনেন,
আর চোখেতো দিনের
বেলাতেই দেখতে পারে
না, এত
দূর থেকে অন্ধকারের মধ্যে আমাদেরকে দেখার প্রশ্নই আসে না !!! তুই গাছে
উঠ “
আল্লাহ্ ভরসা করে সোহেল গাছের
অর্ধেক উঠেছে এমন
সময় আন্টির চিৎকার,
“ ওডি
জসিম্ম্যার বৌ…, কোরবাইন্যা…, তোরা খন্ডে !!! আরার গাছর
ডাব ছুরি গরি
লই যার’গই “
(ওরে বাবা, সে
কি গলার আওয়াজ
!!!)
হা
হা হা, সোহেল
গাছে অর্ধেক থেকে
দিলো লাফ, আমরা
একসাথে দৌড় দিয়ে
রাস্তায়, আর
ঘটনার আকস্মিকতায় টাস্কি খেয়ে গেলাম !! বিস্মিত হয়ে গেলাম এই ঘটনায়,
যেখানে আন্টি কানে
শুনে না !! চোখেও
দেখে না ভালো
মত !! সেখানে এই অন্ধকারের মধ্যে এত
দুরথেকে আমাদেরকে কিভাবে দেখা সম্ভব !!!
No comments:
Post a Comment