Mahabub Rashel বলাতে আমাদের এমরান ভাইয়ের কথা মনে পড়লো। এমরান ভাই ছেলেছোকরাদের নিয়ে মাঠে বসে নিজের বীরত্বের কাহিনি শুনাচ্ছে। এমরান ভাইয়ের মুখেই শুনি বাকিটা......
একদিন আমি আমার হোন্ডাটা নিয়ে লাঙ্গামাটি যাইতেছিলাম। লাঙ্গামাটির রাস্তা খুব ডেয়ারিং। কাবিল না হলে ওখানে কেউ হোন্ডা চালাতে পারেনা। রাস্তাগুলা এমন উঁচুলে উঠে যে প্লেন উড়ি যাওয়ার সময় হরন দিতে দিতে যায়। সেইদিন আমি এরকম একটা রাস্তা দি উঠতেছিলাম। আমার সামনে একটা বেবি ট্যাক্সি। বেবি ট্যাক্সিটা আমাকে সাইড দেয়না। আমি পিত পিত করি হরণ দিতেছি তবু সাইড দেয়না।
আমি বুঝি গেলাম এখানে আমার বেঁকা আঙ্গুলের খেলা দেখাতে হবে। সোজা আঙ্গুলে হবে না। আমি পাহাড়ের নামার মধ্যে জঙ্গলে হোন্ডা নামাই দিলাম। এটা কিন্তু খুব ডেয়ারিং কিন্তু। ওইখান থেকে পড়ি গেলে, একটা মানুষ ওইখান থেকে পড়লে নিচে যাই পড়তেও ৩/৪ মিনিট লাগবে। বুঝছতো তোমরা কেমন ডেয়ারিং। তো আমি যাই বেবি ট্যাক্সির সামনে দি যাই উঠলাম। এরপর হোন্ডার উপর উঠি দাঁড়াইলাম। তখনও কিন্তু হোন্ডা তুরন্ত স্পীডে চলতেছে। আমি হোন্ডার হেন্ডেলে এক পা রাখি আরেক পা দি লাথি মারি বেবি ট্যাক্সির গ্লাস ভাঙ্গি ফেলি ড্রাইভারকে কলার চাপি টানি বাইর করলাম। এরপর হোন্ডা থামাই ইতারে পেট বেরাই বেরাই ভিসিম ভিসিম ঘুষি। তোমরা তো জানো আমি কেরাটি পারি। আমার ঘুষিগুলা অন্যদের চেয়ে বেশি দবজ হয়। তই ইতারে ঘুষি মারতে মারতে হঠাৎ করি ইতার পেট ফাটি গেল। তখন আমার খুব খারাপ লাগলো। গরিব ট্যাক্সি ড্রাইভার। আমার পকেটে হাতাই দেখি ১২০ টাকা আছে। ইতারে ১০০ টাকা দি দিলাম। দি বললাম এই ধর ১০০ টিয়া, কষ্ট করি ফার্মেসিতে যাই পেট সিলাই লইছ।
No comments:
Post a Comment