আজ বিকালে হঠাত দেখি পুলক ভাই সবার জন্য ফরম এর ব্যবস্থা করছেন যার মাধ্যমে সবাই ইনফরমেশন জমা দিবে। ব্যাপার টা দেখে নিজেই একটু দিধায় পড়ে গেলাম।
রবীন্দ্রনাথ এর একটা গল্প আছে। জীবিত ও মৃত। গল্পের নায়িকা কাদম্বিনী মারা গেলে তাকে দাহ করতে নিয়ে যাওয়া হয়। শ্মশান এ হঠাত তার দেহ নড়ে উঠলে সবাই পালায় তাকে ফেলে।কারন সবার কাছে মৃত। পরে এক বান্ধবী র বাড়িতে সে আশ্রয় নেয়।কিন্তু সবসময় সে দিধায় থাকে এই ভেবে যে কোথায় তার স্থান।এই পৃথিবীতে নাকি পরপারে।এক সময় তার মৃত্যুর ব্যাপারটা সবাই জেনে যায়। কেউ তাকে এ জগতের মানুষ বলে গ্রহণ করতে চায় না। শেষ পর্যন্ত সে পুকুরে ডুবে মরে প্রমাণ করে সে আসলেই মরেনি।
আমার ক্ষেত্রে অনেকটা এরকম ব্যাপার ঘটেছে। ২০০৫ সালে যখন চট্টগ্রাম সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় এর ১০০ বছর পূর্তি হয় তখন আমিও নাম তালিকাভুক্ত করিনি এই ভেবে এই স্কুলে ত আমি কিছুদিনের জন্য এসেছিলাম।কিন্তু আমার সোনালী শৈশব ত অন্য স্কুলে।তাই সার্টিফিকেট এ ওই স্কুলের নাম থাকলেও অনুষ্ঠানের দিন যাইনি। আবার স্টিল মিলস স্কুলের পুনর্মিলনীতে আসার কথা ভাবলেও আসিনি এটা ভেবে আমি যে এই স্কুলের ছাত্র সেটা ত আমার সার্টিফিকেট বলেনা।কাদম্বিনীরর মত আমাকেও যদি ওই স্কুলের বলে গ্রহণ না করে।তবে এতদিনে সেই দোটানা অনেকটা কেটে গেছে।তবে কারো সহানুভূতি বা স্বীকৃতি কুড়ানোর জন্য নয়,অনেকদিন ধরে ব্যাপারটা মনের ভেতর ঘুরপাক খাচ্ছিল,তাই শেয়ার করলাম।"কাদম্বিনী মরিয়া প্রমাণ করিল,সে মরে নাই।"আশা করি আমাকে এরকম নিষ্ঠুর ভাবে কিছু প্রমাণ করতে হবেনা
No comments:
Post a Comment