- Mahabub Rasel
অনেকের অনুরোধের সমাধান হিসেবে, মামলা
খাওয়ার ভয়ে, আর
শ্রধ্যেয় স্যারের প্রতি
সন্মান রেখে সিনেমাটি অকালে মুক্তি দেওয়া হল............
“কেলা-কেলি
আর করগোশের” অভিজ্ঞতার পর থেকে
টিউশনি করার তেমন
একটা আগ্রহ থাকতো
না, ছোট
পোলাপাইন হলেতো প্রথমেই না। তার উপরে বিকাল
বেলায় নিজেদের খেলাটাও বিসর্জন দিতে হয় পড়াতে
গেলে। একদিন এক
ছোট ভাই এসে
বলল, “ রাসেল
ভাই আপনার জন্য
একটা টিউশনি ঠিক
করেছি” আমি বললাম ভালো
কথা কিন্তু বিকালে হলে, আর ছোট
পোলাপাইন হলে পড়াবো
না, আমার
মাথা গরম হয়ে
যায়”। সে বলল,
“ না ভাই, কি
যে বলেন, আপনার
জন্য বড় ছাত্র
ঠিক করেছি, আর
আপনার সুবিধা মত
পড়ালেই চলবে !!!” আমিতো এমন
অফারে দারুন খুশি।
যাই
হোক বিকালে আমাকে
নিয়ে গেলো পরিচয়
করিয়ে দিতে, আমিতো
অবাক!! স্যারের বাসায় নিয়ে এসেছে কেন?
স্যারের ছেলে মেয়েকে পড়াতে হবে নাকি? স্যারের বাসায়তো প্রায় সময় আসি,
এমন হলেতো স্যার
নিজেই আমাকে বলতে
পারতেন!!! একটু
পরে স্যার আসলেন,..............
আমি........:
স্যার , আসসালামুয়ালাইকুম, …… আমাকে
নিয়ে আসলো আপনার
বাসায়, আমার
জন্য নাকি টিউশ্নিঠিক করেছে, কাকে পড়াতে হবে?,
ছাত্র কে?
স্যার.........:
(একটু ইতস্তত করে
বললেন), “ আমি’ই ছাত্র !!!”
আমি........:
স্যার আপনিও দেখি
আমার সাথে মজা
নেন, কি
যে বলেন !!! হা হা
হা
স্যার.........:
রাসেল, আমি’ই ছাত্র,
তুমিতো সব সময়
আমার বাসায় আস,
আর বুঝইতো সবাইকে বলা যায় না, তাই
তোমাকেই বললাম।
আমি........:
স্যার মজা নিয়েন
না আমার সাথে,
ঠিক আছে বলেন,
কি করতে পারি।
স্যার.........:
আসলে আমিতো সাইন্স এর মাস্টার, এখন
সাধারন গনিতের মধ্যে
বীজ গনিতের পাশা
পাশি ইলেক্ট্রিক ম্যাথ
ঢুকিয়ে দিয়েছে, এখন
সবাইকেই এই অঙ্ক
গুলো করতে হয়,
আর আমার কাছে
এই কারনে সবাই
প্রাইভেট পড়তে আসে,
কিন্তু যারা কমার্সের ছাত্র তারা অবজেকশন দিচ্ছে,
“ স্যার আপনার কাছে
পড়লে আমাদের কে
২ স্যারের কাছে
পড়তে হয়” কারন আমিতো হিসাব
বিজ্ঞান পড়াই না।
তাই তুমিতো একাউন্টিং পড়াও শুনলাম, আমাকেও একাউন্টিং পড়াবা !!!!!
হাসবো
না কাঁদবো বুঝতে
পারছিলাম না !!! কি আর
করা, শুরু
করলাম ভয়ঙ্কর মিশন।
আল্লাহ্ ভরসা
smile emoticon
প্রথম
দিন গেলাম পড়াতে,
বাহ স্যার বই-খাতা নিয়ে আমার
কাছে আসলেন, আমি
স্যারে চেয়ারে বসা
আর স্যার ছাত্রের চেয়েরে বসা, হা
হা হা grin emoticon
প্রতিদিন আমি স্যারকে পড়া দিয়ে
আসতাম বাড়ির কাজ
দিতাম, আর
পরের দিন পড়া
নিতাম বাডির কাজ
দেখতাম !!! স্যারও দেখি
ফাকি দিতো !!! হা হা
হা grin emoticon
মাঝে
মধ্যে বাড়ির কাজ
না করে বলতেন,
“ আজকে সময় পাই
নাই, কালকে
ঠিক মত করবো
!!” আর আমি বলতাম,
“ স্যার এভাবে করলেতো হবে না, অনেক
সময় লেগে যাবে
তাহলে, যদি
২/৩
মাসের মধ্যে শেষ
করতে চান, আপনাকে মনোযোগী হতে হবে ” মাঝে
মধ্যে স্যারকে হালকা
ঝাড়িও দিতাম !!! বলতাম, উফ...
স্যার, আপনার
মাথায় কিছু নাই
!!
খালাম্মা চা-নাস্তা নিয়ে
আসতেন, আমি
মজা করে খেতাম
আর স্যারের কাছ
থেকে পড়া নিতাম,
খালাম্মা মাঝে মধ্যে
বলতেন, তোমার
নতুন ছাত্র কেমন?
পড়া শিখে ঠিক
মত? grin emoticon
মজার
ব্যাপার হল, আমি
ছাত্রকে ডাকতাম স্যার,
আর ছাত্র (স্যার)
আমাকে ডাকতেন নাম
ধরে, তুই
তোকারি করে, হা
হা হা grin emoticon
তবে
আমার জীবনের সেরা
ব্রিলিয়েন্ট ছাত্র ছিলেন
শ্রদ্ধ্যেয় স্যার, মাত্র
আড়াই মাসেই সম্পুর্ন বই মুখস্ত করে ফেলেছিলেন।
No comments:
Post a Comment