আমার ভাগ্য সব সময় আমার বিরুদ্ধে সুপ্রসন্ন। আমি উত্তরে গেলে সে যায় দক্ষিনে আর আমি দক্ষিনে গেলে সে যায় উত্তরে। যে কারনেই হোক ভাগ্য বেচারা (আসল “বেচারা” তো আমি) আমার সাথে চলতে মোটেই পছন্দ করে না। বিভিন্ন জায়গায় আমার সরাসরি “কট” খাওয়ার পিছনেও আনেকটাই এই ভাগ্যেরই অবদান (নিজের দোষ ঢাকার চেষ্টা না)। যেমন আমার সব বন্ধু আমাকে অত্যন্ত ভদ্র ও ভালো ছেলে বলেই জানে। কিন্তু মাঝে মাঝে এমন কিছু করে ফেলি বা করে ফেলতে যাই যা অন্তত আমাকে মানায় না বলে তারা মনে করে।
তারেক’কে দেখার জন্য জসিম, নাজমুল, পুলক, টিপু, চট্টগ্রাম হইতে আসিল। রেজার অফিসে যাওয়ার পর- ছোট বোন রনির বাসায় যেয়ে বিভিন্ন ধরনের মুখরোচক খাবারের আইটেম দেখিয়া আমি কয় মিনিটে এক ঘন্টা তা ভুলিয়া গেলাম। তারেক পপুলারের কাছা কাছি আসিয়া গিয়াছে শুনিয়া সবাই তাড়াতাড়ি উঠিয়া গেলো কিন্তু আমার পেটে কয়লা দেওয়া আর শেষ হয় না।
মজনু জসিম ঢাকায় আসিবার আগে- ঢাক্কইয়া লাইলীকে (রুবার খালাতো বোন) বলিয়া ছিলো-মজনু তোমার আসিছে ঢাকায়..........। আর যায় কোথায়..? ঢাক্কাইয়া লাইলী নায়ক মজনুকে ফোনের পর ফোন দিতে লাগিলো। উপায়ন্তর না দেখিয়া মজনু সাহেব তার সখা হিসাবে আমাকে লইয়া লাইলীর উদ্দেশ্যে রওনা হইলো। ফলাফল- হায়রে কপাল মন্ধ, চোখ থাকিতে অন্ধ, অর্থাৎ স্বাভাবিক সমযের থেকে তিন ঘন্টা পর তারেকের সাথে আমার দেখা হইলো।
সবাই আসিলো- বড্ডা বালিকা আসিলে পীর সাহেব সবাইকে পরিচয় করাইয়া দিলো, শুধু আমাকে বাদে। অনেকক্ষন পর বড্ডা বালিকা আমকে ববিতা ষ্টাইলে সালাম দিয়া বলিলো- রিপন ভাই কেমন আছেন..?গুন্নি (ছোট) বালিকার সাথে আমার কোন কথাই হইলো না।
তখনি আমি – সফদার ডাক্তারের প্রেসকিপ্সন করিবার সিদ্বান্ত গ্রহন করিলাম – নরমাল জ্বরের জন্য উহাদিগকে কুইনিন খাওয়াতে হইবে।
বড্ডা ও গুন্নি বালিকার কমেন্টস হইতে সূত্র পাইয়া গেলাম- পাম্পে ফুলিয়া বড্ডা বালিকা মাটি হইতে কয়েক হাত উপরে চলাফেরা কারিতে ছিলো। আর্কিমিডিসের জলের সূত্র কে আমি বাতাসে রুপান্তর করিয়া- দেড়মন ওজন দিয়া উনাকে মাটিতে নামাইয়া আনিলাম।
গুন্নি বালিকাকে ঘটেসি বেগম বানাইয়া ছোট ভাইয়েরা নাইছ দেখিতে চাইয়া ছিলো। আমি তাকে ঢাক্কাইয়া মেয়ে জোছনা বানাইয়া তাদের আশা পুরন করাইলাম।
অবশ্য বড় ভাই হিসাবে এটা আমার উচিৎ হয় নাই। সময়ের অভাবে গুছাইয়া লিখিতে পারিলাম না।
No comments:
Post a Comment