Monday, October 12, 2015

মারবেল খেলা (বাকি অংশ) ......


চম্পা- এটা মুলত দুই জনের খেলা। আন্টিসের মত আঙ্গুল দিয়ে খেলতে হয়না। মারবেল ধরে মারা যায়। এ খেলার সুবিধা হল যে কোন জায়গায় খেলা শুরু করা যায়। অর্থাৎ কেপ কেন্দ্রিক না। মারবেল যেখানে থাকবে সেখানে পা রেখে অন্য খেলোয়ারের মারবেল ঠুকতে হবে। লাগাতে পারলে একটা মারবেল পাবে।

চম্পার জন্য ডাগ্গিটা একটু বড় হতে হয়।
খেলোয়াড়- মারবেল যারা খেলত সবাই এটা খেলত। অনেক সময় আন্টিস খেলতে ইচ্ছা না করলে, কখন চান্স না পেলে অন্য পাশে চম্পা শুরু হয়ে যেত। যত দুর মনে পরে দুলি, সমু, বড়া মিয়ার মধ্যে চ্যালেঞ্জটা জমত ভাল।
ভ্যেনু- আন্টিস যেখানে খেলা হত তার আশে পাশে চম্পা খেলা হত। বিশেষ করে রাস্তায়। রাস্তার ইট.পাথরের খাজে মারবেল লুকিয়ে রাখা যেত তো তাই।


স্মৃতি- C-10 এর পেছনে খেলার সময় দুলি বা সমু ডাগ্গি রাখল গর্তের মধ্যে, মারবেলটা যাতে অল্প দেখা যায়। অন্যজন এমন ভাবে ঠুকল মারবেল ঠাস করে দুই ভাগ।

রানা ছিল একটু কঞ্জুস টাইপের। অন্তত তখন আমরা তাই মনে করতাম। কেউ ওর সাথে খেলতে চাইত না। আমি একবার সাহস করে খেলতে রাজি হলাম। মনে মনে ভাবলাম আজকে তোকে ফতুর করবই। C-3 এর সামনে চম্পা খেলায় খেলতে খেলতে একটা লস দিলাম। এইবার ওকে আর পাই কই। ইচ্ছে করে দুরে দুরে থাকে। আমাকেও মারে না আমি মারতে পারি না। টেকনিক বুঝতে পারলাম। কিন্তু দেরিতে। কিছুক্ষন পড় আর খেলব না বলে মারবেল নিয়ে দোড়। আমি পেছন থেকে গালি দেওয়া ছাড়া কিছুই করতে পারলাম না।

বাত- বাতও মুলত দুইজনের খেলা। তবে দুইয়ের অধিক খেলয়াড়ও খেলতে পারে। বাত খেলতে হলে এক সাথে অনেক মারবেল দরকার হয়। একটু দুরত্ব রেখে দুইটা দাগ দিতে হয়। একদাগের এপার থেকে অন্য দাগের ওপারে খেলোয়াড়দের দেয়া সমান সংখ্যক মারবেল মারতে হবে। যার দান তাকে অন্য খেলোয়াড় একটা মারবেল দেখিয়ে দিবে যেটা বাদে অন্য মারবেল গুলো থেকে একটা ডাগ্গি দিয়ে ঠুকতে হবে। অবশ্যই দাগের এপার থেকে। লাগাতে পারলে সব মারবেল সে লাভ করবে। একের অধিকে লাগলে কিছুই পাবেনা। অন্য খেলোয়ারের দান আসবে।

খেলোয়াড়- ঐ
ভ্যেনু- ঐ

No comments:

Post a Comment

Comments

Not using Html Comment Box  yet?

No one has commented yet. Be the first!

rss