ড্রেনে পড়া নিয়ে অনেক দিন ধরেই আমরা অনেক কিছু বলছি বা লেখছি,
কেউ ইমোশনাল হয়ে ড্রেনে পড়ে,
কেউ জ্বরের দুর্বলতায় ড্রেনে পড়ে,
কেউ প্রেমে পড়ে ড্রেনে পড়ে আরো কত কাহিনী।
আজ সকালে এসে শুনলাম বা দেখলাম ড্রেনে পড়ার আরেক কাহিনী,
তবে এর সংগে আমাদের সিএসএম-
এর কেউ জড়িত নয়।
সকালে অফিসে এস
বসতে না বসতেই,অফিসের পিয়ন সানোয়ার বিধ্বস্ত ও ভেজা অবস্থায় আমার রুমে এসে কান্নাকাটি শুরূ করল,
ও বিস্তারিত যা বলল তা হচ্ছে সে প্রতিদিনের মত চেক জমা দেওয়ার জন্য ব্যাংক এশিয়া
, মহাখালী ব্রাঞ্চে যাচ্ছিলো,
যাওয়ার পথে সে হঠাৎ একটি বড় ড্রেনে পড়ে যায়। তবে সানোয়ার বলল
,” স্যার আমি পড়ছি সমস্যা নাই তবে সব কয়টা চেক ড্রেনে ভাইসা গ্যাছে”,
এই বলে আবার কান্না শুরু করল।
আমি অনেক কষ্টে হাসি চেপে তাকে জিজ্ঞেস করলাম,
তুমি কি কোন কারনে ইমোশনাল ছিলা,
সে সাথে সাথে উত্তর দিলো
, জ্বী স্যার গ্রামের বাড়ির একটা বিষয় নিয়া একটু চিন্তায় ছিলাম,
তাই আনমনা হয়ে হাটতে গিয়া ড্রেনে পইড়া গেছি। সে আসলে চেক গুলো নিয়ে খুব টেনশনে ছিলো। আমি তারে বললাম তুমি টেনশন করোনা,
চেকের বিষয় আমি দেখবো। সে খুব খুশী মনে চলে গেলো।
আসলে আমিতো ড্রেন নিয়ে লিখার একটি প্লট পেয়ে গেছি,
এ খুশীতে কি আর ওরে কিছু বলা যায়। আবারও প্রমাণিত হলো ইমোশন ও ড্রেন দুজনে দুজনার।।
No comments:
Post a Comment