১৯৯৩ সাল।আমাদের ক্লাস টিচার নাজিমুদ্দিন স্যার ক্লাস চলা নেবার সময় বলে উঠলেন, কিরে, আজকে ত তোদের বাকের ভাইয়ের ফাসি হবে।দুপুরে বাসা থেকে খেয়ে এসে স্কুলের তিনতলায় গিয়ে দেখি,দেয়াল,দরজা সব সিনিয়রেরা লিখে ভরে ফেলেছেন। যেমন- বাকের ভাইয়ের কিছু হলে,জলবে আগুন ঘরে,ঘরে, কিংবা কুত্তাওয়ালির চরিত্র, অমুকের মত পবিত্র।অবাক হয়ে গেলাম।মানুষ নাটকের একটা চরিত্র কে এত ভালবাসতে পারে।রাতে যখন " কোথাও কেউ নেই" দেখতে বসলাম, বাকের ভাইয়ের মৃত্যুর দৃশ্য দেখে চোখে পানি এল।অন্যায়ের জয় নাকি বাকের ভাইয়ের জন্য ভালবাসা বুঝলাম না।
হুমায়ুন আহমেদের এইসব দিনরাত্রির টুনি চরিত্রের মারা যাওয়া নিয়েও একই ঘটনা হয়েছিল।এগুলো ত নাটকের ঘটনা।
সত্যিকারের প্রিয় বা আপন মানুষটির চলে যাওয়া আরো বেশি কষ্টকর। এ ধরনের মানুষগুলো যখন আমাদের জীবন থেকে চলে যায়,তখন এক ধরনের শুন্যতা সৃষ্টি হয়।আস্তে আস্তে সেই শুন্যতা কে মানুষ মেনে নিতে থাকে।তারপর সেই মেনে নেয়াকে অবলম্বন করে বেচে থাকা।সময় হয়ত সেই শুন্যতার ক্ষতখানিকে মুছিয়ে দেয়।
স্টিল মিলস কলোনি থেকে চলে আসার পর এক ধরনের শুন্যতা সৃষ্টি হয়েছিল।ধীরে ধীরে সেই শুন্যতাকে মেনে নিয়ে দিন চলে যাচ্ছিল। কিন্তু সেই কলোনি টাকে পুরো পুরি গুড়িয়ে দেয়া হল,তখন যেন সেখানে ক্ষত তৈরি হল, যা হয়ত কোনদিনই পুরণ হবার নয়।csm group যেন সেই ক্ষতের উপর দাওয়াই এর কাজ করছে।
No comments:
Post a Comment