ছোট্ট এই জীবনের সবচেয়ে কঠিন সময় পার করছি। কঠিন এবং নির্মম একটা সিদ্ধান্ত
নিতে হলো আজ। কতোটা কষ্টে এতোবড় সিদ্ধান্ত নিলাম,তা কেউ বুঝবে না।বুঝাতে চাইও না। আল্লাহ্র দেয়া সামান্য
ক্ষমতার চেয়েও এক ইঞ্চি এগিয়ে মানুষকে সাহায্য করার চেষ্টা করেছি আজীবন। আমার একটা
ফোনে কারো সামান্য উপকার হলে তার জন্য নিজের মর্যাদাহানি হবার সম্ভাবনা থাকলেও তা
করতে দ্বিধা করিনি। ছোট বেলা থেকে মামার জোর না থাকা আমি আমার সাধ্যমত অপরের মামা
হবার চেষ্টা করেছি। আল্লাহ্ আমাকে যে সাইজের মন দিছে,সেই সাইজের ক্ষমতা না দিলেও যতটুকু ক্ষমতা দিয়েছেন,তার সবটুকু উজাড় করেছি অন্যের উপকারে।
অপরিচিত অনেকের
সন্তানদের ক্যান্টনমেন্ট স্কুলে ভর্তি করিয়ে দেওয়ার জন্য টাকা দিতে চেয়েছে
অনেকে।হেসে বলেছি, আমার বাবা এই শিক্ষা
দেয়নি।ষ্টীলমিল যখন বন্ধ ছিলো,আন্দোলন হচ্ছিলো
মিল খোলার দাবিতে,আমার বাপ তখনো অফিস
টাইমের পুরাটা অফিসে থাকতো। একদিন সজীব ভাইয়া আব্বাকে জিজ্ঞেস করেছিলো,"মিল তো বন্ধ।আপনি মিলে যেয়ে কি করেন?" আব্বার উত্তর ছিলো," মিল বন্ধ হলেও এই ছয়/সাত মাসের বেতন আমাকে দেওয়া হবে।আমার
হাজির থাকার কথা,আমি হাজির থাকি।"
বাপের সেই কথা আমি আমার কর্মজীবনে মনে রেখে কাজ করি।বেতন হালাল করি।
৯১ এর
ঘুর্নিঝড়ে কাজের বুয়া আর তার আশেপাশের ডজনখানেক মানুষ আমাদের বাসায় উঠে
ড্রয়িংরুমকে বস্তি বানিয়ে ছিলো।এখনো চোখে ভাসে, প্রচণ্ড ঝড়ের ঝাপটা ঠেলে সি-টাইপের খোলা বারান্দা দিয়ে
রান্নাঘরে গিয়ে আম্মা সবার জন্য খিচুড়ি রান্না করে খাইয়েছে।মানুষের বিপদে পাশে
দাঁড়াবার শিক্ষা পেয়েছি সেখান থেকে।
আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি,আল্লাহ্ নিশ্চই
দেখেছেন আমি যদি কারো উপকার করে থাকি। আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি,আল্লাহ্ আমার পরীক্ষা নিচ্ছেন, যা আমি গত ৯ বছর ধরে হাসিমুখে ক্রমাগত দিয়ে আসছি। আল্লাহ্,
আমি টায়ার্ড। আর না।
সরি CSM বাসী, আমি বেশ কিছুদিন দূরে ছিলাম গ্রান্ড আড্ডার আয়োজন থেকে।
সর্বাত্মক চেষ্টা করবো আড্ডায় স্বশরীরে হাজির থাকতে আল্লাহ্ হায়াৎ আর রিজিক দিলে।
Please don't ask why I have
written this post. I can't answer. I only seek for your prayers. I'm certain
Allah will listen to your prayers though He is not listening mine. Smile
emoticon smile emoticon smile emoticon
May Allah bless us all. Please
keep me in your prayer as I need it badly.
No comments:
Post a Comment