ভাবতে ভাল লাগে অন্তত দুয়েক জন আমার লেখার জন্য অপেক্ষা করে। আমরা কলোনী ছেড়ে
হালিশহরে নিজেদের বাড়ী চলে আসি ১৯৮৭। তখন আমি ক্লাস 7 এ। মাসটা ছিল সেপ্টেম্বর। অনেকটা সময়। অনেক ছোট খাট ঘটনা
মনে আছে আবার অনেক কিছুই হারিয়ে গেছে।
সালটা ঠীক মনে নাই। তখন সবেমাত্র internal টেলিফোন গুলো দেওয়া হইছে। তারিকের সাথে নম্বর বিনিময় হল।
বললাম দুপুরে ফোন করিস তখন ড্রইং রুমে কেউ থাকেনা। ঐ দিনই তারিক দুপুরে ফোন করল।
তারেকের কোন কথারই ঠীক মত জবাব দিতে পারছিলাম না। হু হা করে যাচ্ছিলাম। বেচারা
বেশী আগাতে না পেরে রেখই দিল। পরে বিকালে দেখা হলে তারিক জিজ্ঞাস করল, কিরে ফোন দিলাম ঠীক মত কথাই বললেন না....। আমি বললাম আরে
অন্য সময় দুপুরে ড্রইং রুমে কেউ থাকেনা, আজকে বড় ভাই বোন, আম্মা ঔ সময় ড্রইং রুমে
হাজির। ওদের সামনে আমাদের আলাপ চলে?
মনির আমাদের ছোট হলেও সম্পর্কটা বন্ধুত্বেরই ছিল। বরং একটু বেশীই ছিল। মনিরের
একটা গুনের কথা হঠাৎ ডালিম ফাঁস করে দিল। মনির মুখ দিয়ে পানি নিয়ে নাক দিয়ে বের
করতে পারে , আর যায় কই? কয়দিন পরপর আমাদেরকে এটা দেখাতে হত। বেচারা.......। কোন এক
বছর বার্ষিক পরিক্ষা শেষ। তখন কেবল কাজ ছিল টৈ টৈ করে বেড়ান। সকালে বের হতাম
দুপুরে ফিরতাম, আবার বিকালে বের হয়ে
সন্ধ্যায় ফিরতাম। এমন একদিন মনির আসল আমাদের বিল্ডিংয়ের (C-11-C) সামনে গল্পের বই নিতে। আমিই নিয়ে আসছি। দুপুর ২টার কমনা।
মনিরকে নিচে রেখে বাসায় ঢুকতেই আব্বা সামনে। "সারা দিন বাইরে
বাইরে......................"। বকা খেয়ে এক দৌড়ে বাথরুমে। গোসল করব। হঠাৎ মনে
হল হায় মনিরকে তো বাইরে দাড় করিয়ে রাখছি। তাড়াতাড়ি বের হয়ে একটা বই নিয়ে দৌড়ে দিয়ে
এলাম। মনির বলল, শালা এতক্ষন......। আমি
বললাম , বেটা, আব্বা পালা জলদি। কতক্ষন দাড় করিয়ে রাখছিলাম মনে নাই....
No comments:
Post a Comment